বাজেট ফ্রেন্ডলি হিসেবে ওয়ালটন এইচএম সিরিজের অনেক জনপ্রিয়। আজ আলোচনা করব এইচএম সিরিজের নতুন সদস্য ওয়ালটন প্রিমো এইচএম ৪ আই সম্পর্কে । স্মার্টফোনটি ডিজাইন এর দিক দিয়ে অনেক আকর্ষনীয়। যারা বাজেট রেঞ্জে প্রিমিয়াম ডিজাইনের স্মার্টফোন চাচ্ছেন তাদের জন্য প্রিমো এইচএম ৪ আই ডিভাইসটি। স্মার্টফোনটিকে বলা যাবে এর আগে লঞ্চ হওয়া প্রমো এইচএম ৪ প্লাস এর লাইট ভার্সন।
আনবক্সিং
একনজরে প্রিমো এইচএম ৪আই ডিভাইসটিতে যা থাকছেঃ
-
- ৫.৫” IPS ডিসপ্লে
- ২.৫ডি কার্ভড ডিসপ্লে
- অ্যান্ড্রয়েড ৭.০ নগাট
- ১.৩ গিগাহার্জ কোয়াড কোর প্রোসেসর
- রিয়ার ৮ মেগাপিক্সেল অটোফোকাস (সাথে এলইডি ফ্ল্যাস)
- ফ্রন্ট ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা (সাথে সফট-এলইডি ফ্ল্যাস)
- ৩৮০০ এমএএইচ লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি
হার্ডওয়্যার
ডিভাইসটিতে রয়েছে মিডিয়াটেকের MT6580 চিপসেট। এটি একটি চার কোর বিশিষ্ঠ কোয়াডকোর সিপিইউ। যার প্রতি কোরের ক্ষমতা ১৩০০ হার্জ। গ্রাফিক্স প্রোসেসিং ইউনিট হিসেবে এতে রয়েছে মালি-৪০০ এমপি জিপিইউ। ওয়ালটনের এই বাজেটের অন্যসব ডিভাইসে সাধারন এই হার্ডওয়্যারই দেখা যায়।
Ram ও রম
ডিভাইসটির সিস্টেমকে ব্যাকআপ দিবে একটি ১ জিবি Ram। এটি একটি LP DDR3 Ram। যার ৯৫৫ এমবি এর ভেতর সাধারনত কিছু অ্যাপলিকেশন ইনস্টল করলে ৩৪৯ এমবির মতন Ram বা প্রায় ৪০% ফাঁকা থাকে। ইন্টারনাল মেমোরী ৪ জিবি এর ভেতর ৩.৩৬ জিবি ব্যবহারযোগ্য ।
বেঞ্চমার্ক
গীগবেঞ্চ অ্যাপে সিঙ্গেল কোরে ডিভাইসটির স্কোর এসেছে ৪১৯। আর মাল্টি কোরে এর স্কোর এসেছে ১১৯২। স্পেসিফিকেশন হিসেবে বেঞ্চমার্ক স্কোর এভারেজ। আর এনটুটু বেঞ্চমার্কে এর স্কোর এসেছে ২০৪৭২।
ইউজার ইন্টারফেস
ডিভাইসটিতে অ্যান্ড্রয়েড এর নগাট ভার্সন ব্যবহার করা হয়েছে। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এখানে ইউজার ইন্টারফেসে ব্যবহারকারী পুরোপুরি স্টক এর স্বাদ পাবেন। তবে আইকনগুলো অনেকটা কাস্টমাইজড। ভিতরে কিছু ফাংশন স্টক থেকে বিপরীত এবং কাস্টমাইজড।
ডিসপ্লে এবং বডি
ডিভাইসটিতে রয়েছে ৫.৫ ইঞ্চি এর এইচডি আইপিএস প্যানেল। এটি এইচডি তথা হাই ডেফিনেশন ডিসপ্লে যার রেজুলেশন ১২৮০*৭২০ পিক্সেল। ডিভাইসটি ৫ ফিংগার মাল্টিটাচ সাপোর্টেড। আইপিএস ডিসপ্লে হওয়ার কারনে নি:সন্দেহে ভিউইং অ্যাঙ্গেল নিয়ে কোন সমস্যা হওয়ার কথা না। ডিসপ্লেটি সাইড দিয়ে ২.৫ ডি কার্ভড হওয়ার কারনে স্মার্টফোনের ডিজাইনকে এটি বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণে।
ডিসপ্লে হিসেবে ফোনটিতে রয়েছে ১২৮০*৭২০ রেজুলেশনের এইচডি তথা হাই ডেফিনেশন আইপিএস প্যানেল। আইপিএস হওয়ার কারনে ভিউইং অ্যাঙ্গেল নিয়ে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আর ডিসপ্লেটি সাইড দিয়ে ২.৫ ডি কার্ভড হওয়ার ফলে একটি প্রিমিয়াম ফিল পাওয়া যাবে। ক্যাপাসিটিভ টাচ ডিসপ্লের সাথে ডিভাইসটি ১৬ মিলিয়ন কালার সাপোর্টেড। কোয়ালিটি অপটিমাইজেশন এর জন্য সেটিংসে রয়েছে বিল্ট-ইন ভাবে রয়েছে মিরাভিশন টেকনোলজি।
ডিভাইসটির ডিজাইন আগের এইচএম৪ প্লাস (Primo HM4+) এর মতই অনেক সুন্দর এবং কম্প্যাক্ট, সাইড দিয়ে বেজেল বেশি বড় মনে হবে না।ডিভাইসটি ৮.৪ মিলিমিটার পুরু। এর উচ্চতা ১৫৪.৭ মিলিমিটার আর প্রসস্থ ৭৭ মিলিমিটার। আর ব্যাটারী সহ স্মার্টফোন তথা ডিভাইসটির ওজন ১৬৮.৩০ গ্রাম। রয়েছে আগের মতই দারুন একটা মেটাল টেক্সচার।
ক্যামেরা
আগের এইচএম৪ প্লাস (Primo HM4+) মডেলটির মতই ফ্রন্ট ক্যামেরার দিক দিয়ে কোন অমিল পাবেনা ব্যবহারীররা। সেলফি তোলেন তাদের জন্য তো স্মার্টফোনের সামনে বিএসআই সেন্সরযুক্ত ৮ মেগাপিক্সেল সেকেন্ডারি ক্যামেরা থাকছেই। ফ্রন্ট ক্যামেরায় অন্ধকারের সময় আলোর জোগান দিতে রয়েছে একটি সিঙ্গেল এলইডি ফ্ল্যাস। আগের মত সেকেন্ডারি ফ্রন্ট ফেসিং এই ক্যামেরাটিতে ফেস ডিটেকশন, অটো ফোকাস, ফিংগারপ্রিন্ট ক্যাপচার ইত্যাদির মত সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে।
যেখানে এর আগের প্রিমো এইচএম৪ প্লাস ডিভাইসে প্রাইমারি ক্যামেরা হিসেবে ছিল বিএসআই সেন্সর যুক্ত একটি ১৩ মেগাপিক্সেল সিঙ্গেল ক্যামেরা; তবে এতে থাকবে ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা,আর এর সাথে রয়েছে একটি সিঙ্গেল এলইডি ফ্ল্যাশ। এই ক্যামেরা দিয়ে ১০৮০*১৯২০ রেজুলেশনে সম্পূর্ণ এইচডি ভিডিও ক্যাপচার করা যাবে। একইভাবে এতে ফেস ডিটেকশন, কন্টিনিউয়াস ফোকাস এর মত অপশন তো থাকছেই। আর দারুন প্রোফেশনাল শট নেয়ার জন্য ক্যামেরা অ্যাপটিতে রয়েছে “প্রো “মোড। মোট কথা,সামনে পিছে ক্যামেরা মোটামোটি বলা চলে।
ক্যামেরা স্যাম্পল