কৃষিভিত্তিক দেশ বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্থকরি ফসল হিসেবে ডাল ফসলের গুরুত্ব অপরিসম। বাংলাদেশে পায় ৫ থেকে ৭ লক্ষ হেক্টর জমিতে ডাল ফসলের চাষ হয়ে থাকে। বার্ষিক উৎপাদন প্রায় ৪ থেকে ৫ লক্ষ টন্ বাংলাদেশের মোট আবাদি জমির প্রায় ৫ থেকে ৬ শতাংশ ডাল চাষে ব্যবহৃত হয়ে থাক্। অন্যদিকে মোট ফসলি জমির (Total Cropped area) হিসেবে ডাল ফসলের জমির পরিমান ২ থেকে ৩ শতাংশ্ বাংলাদেশের জনসাধারণের কাছে আমিষের অন্যতম প্রধান উৎস হিসেবে ডালের গুরুত্ব ব্যাপক। পুষ্টিবিজ্ঞানীদের ধারণা ডালে প্রায় ৮০ শতাংশ উদ্ভিজ্জ আমিষ রয়েছে। শুধু পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবেই নয়, সুস্বাদু খাদ্য হিসেবেও ডালের সমধিক গুরুত্ভ রয়েছে।
অামিষের উৎসঃ অামিষের অন্যতম প্রধান উৎস হিসেবে ডাল ফসলের গুরুত্ব রয়েছে। ডালে প্রায় ৮০ শতাংশ উদ্ভিজ্জ আমিষ রয়েছে। এটি যথেষ্ট সুখাদ্যও বটে।
পশুখাদ্যঃ ডাল ফসলের কেবল শিম অংশই মানুষের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়, বাকি অংশ পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত করা হয়। এছাড়া সাথী ফসল হিসেবে অন্যান্য উদ্ভিদ চাষাবাদ করা যায়।
জাতের ব্যাপকতাঃ বাংলাদেশে ডাল ফসল প্রজাতির ব্যাপকতা রয়েছে। যা থেকে খুব সহজেই কাঙ্ক্ষিত জাত সমূহ চাষের জন্য নির্বাচন করা যায়।
চাষাবাদ পদ্ধতিঃ ডালজাতীয় বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ পদ্ধতি এবং বিভিন্ন ধরনের আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি দেশিয় বিজ্ঞানী ও কৃষিজীবীদের জানা আছে।
ফলন বৃদ্ধির সুযোগঃ চাষাবাদের জমি বৃদ্ধি করার মাধ্যমে ডাল চাষাবাদের এলাকা বৃদ্ধি করা সম্ভব।
বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ঃ ডাল খাদ্যের চাহিদা বাংলাদেশে ব্যাপক, তাই প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করে বিদেশ থেকে ডাল আমদানি করতে হয়। প্রায় ৬৫% ডাল বাইরে থেকে আসে।
মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিঃ নাইট্রোজেন সংবন্ধনের মাধ্যমে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধির কাজেও ডালজাতীয় ফসলের ব্যাপক গুরুত্ব রয়েছে।
সবুজ সবজিঃ সবুজ সার উৎপাদনের মাধ্যমে সবুজ সবজি হিসেবে ডাল ফসলের গুরুত্বও কম নয়।
জীববৈচিত্র্য রক্ষাঃ জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য বিভিন্ন ধরনের ডালের প্রজাতি রক্ষা করা প্রয়োজন।
জনপ্রিয় খাদ্যঃ ডাল নিরাপদ জনপ্রিয় এবং পুষ্টিকর খাদ্য।