পেনড্রাইভ কিনবেন? তাহলে কিছু বিষয় জানা রাখুন।
Shah Zobayer Ahmed | ২,১০৩ বার পঠিত | নভেম্বর ২১, ২০১২ | টিপস্ এন্ড ট্রিকস্,মেমরী/পেন ড্রাইভ | ৩ | ১০:০৫ PM |
আসসালামু আলাইকুম ☻ সবাই কেমন আসেন ☻ আসাকরি সবাই ভাল আছেন ☻ আমি জানি আপনারা সব সময় ভালই থাকেন ☻ আমিও আপনাদের দোয়াতে ভাল আছি । এরকম পোস্ট আগে হয়ে থাকলে ,তার জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত ।
আমার মনে হয় Pchelpcenterbd এই ব্লগে এমন কেউ নেই, যার একটিওঁ পেনড্রাইভ নেই। এখন এটি এতটা প্রয়োজনীয় জিনিস যে কারো কম্পিউটার না থাকলেও পেনড্রাইভ থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে পেনড্রাইভ কিনার আগে কিছু ব্যাপারে জেনে রাখা ভাল। তাই আজকে আমি আপনাদের কিছু টিপস দিব।
১। যতটা সম্ভব, বড় মেমরীর পেনড্রাইভ কিনবেন। এতে বড় ফাইল বিশেষ কারে মুভি নিতে সুবিধা হবে।
২। এখন কিনলে ৩২, ১৬ জিবি কিনতে পারেন। তবে মিনিমাম ৮ জিবি কিনবেন। কারন ২, ৪ জিবির পেনড্রাইভ এখন প্রায় মার্কেট আউট। তাই ভবিষ্যতে ওয়ারেন্টি থাকলেও নতুন চেঞ্জ পেনড্রাইভ পাবেন না।
৩। ওয়ারেন্টি কতদিনের তা যেনে নিবেন। এখন অধিকাংশ কোম্পানী লাইফ টাইম ওয়ারেন্টি দেয়।
৪। ভাল ব্র্যান্ডের পেনড্রাইভ কিনবেন। তাহলে ওয়ারেন্টি সার্ভিস নিশ্চিন্তে পাবেন।
৫। পেনড্রাইভের ডাটা ট্রান্সফার রেট কত, তা দেখে কিনবেন। পেনড্রাইভ যত ভাল হবে, তার ডাটা ট্রান্সফার রেট তত বেশি হবে। ফলে ফাইল ট্রান্সফার দ্রুত হবে।
৬। স্লাইডার পেনড্রাইভ এর চাইতে ঢাকনা যুক্ত পেনড্রাইভগুলো ভাল হবে। কারন এতে পানি ঢোকার সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত কম থাকে।
৭। পেনড্রাইভ লক করার সুবিধা আছে কিনা দেখে নিবেন। এটা ২ ধরনের হতে পারে, একটা পাসওয়ার্ড সিস্টেম, আরেকটি সুইচ সিস্টেম। আপনার যেটা সুবিধা,সেটা নিবেন।
৮। সর্বনিম্ন দামের পেনড্রাইভ কিনবেন না। ধরুন ৮ জিবি পেনড্রাইভ ৮০০ টাকা আছে আবার ১৫০০ টাকা আছে। এখন এ ২টার মধ্যে পার্থক্য আছে। কম দামের পেনড্রাইভগুলোর মেমরী চীপ সাধারনত পুরাতন, ডিফেক্টেড হয়। আরেকটু ভালভাবে বুঝিয়ে দিই। ধরুন কারো পেনড্রাইভ নষ্ট হয়ে গেল। ওয়ারেন্টির কারনে ওটা চেঞ্জ হল। কোম্পানীগুলো ঐ নষ্ট পেনড্রাইভ গুলো ঠিক করে কম দামে আবার বিক্রি করে। তখন ঐ পেনড্রাইভ গুলোর দাম অপেক্ষাকৃত কম হয়।
৯। অনেক সময় পেনড্রাইভের যে জায়গা থাকার কথা, তার অর্ধেক থাকে {বিশেষ করে চাইনিজ গুলাতে}। মানে ৮ জিবির জায়গাতে ৪ জিবি থাকে। যদিও কম্পিউটারের প্রোপার্টিজ এ ৮ জিবি লিখা থাকে। এর কারন হল কিছুকিছু পেনড্রাইভ এ ১টি চীপ এর বদলে ২ টি থাকে। মানে ৮ জিবির ১ টি চীপ এর বদলে ৪ জিবি+ ৪ জিবি ২ টা চীপ থাকে। তখন ১ টি নষ্ট থাকলেও এটি কম্পিউটার ধরতে পারে না। ফলে দেখা যায়, অর্ধেক জায়গা ভরার পর পুরো ফাইল ট্রান্সফার না হয়ে শুধু সর্টকাট কপি হয়।
১০। প্লাস্টিক বডির চাইতে মেটালিক বডির পেনড্রাইভগুলো ভাল হয়।
১১। উইন্ডোজ ৭ সাপোর্টেড পেনড্রাইভ কিনবেন।
১২। সামর্থ থাকলে পেনড্রাইভ না কিনে পোর্টেবল হার্ডডিস্ক কিনবেন।
১৩। পেনড্রাইভ না কিনে একই জায়গার মেমরী কার্ড নিতে পারেন। যা আপনি দরকার হলে মোবাইল অথবা ক্যামেরাতে ব্যবহার করতে পারবেন।
১৪। Made in china এর চাইতে Made in Taiwan এর পেনড্রাইভ ভাল হবে।।

যদি টিউটোরিয়ালটি আপনার কাছে ভালো লাগে Subscribe করতে ভুলবেন না।
আপনি যদি চান আমাদের ওয়েব সাইটে নতুন পোস্ট হওয়ার সাথে সাথে আপনাকে আমরা ইমেইলের মাধ্যমে জানাবো তাহলে Subscribe করুন।
thanks vai
Welcome
অসাধারন ইনফো দিলেন, ধন্যবাদ
তবে 5নং টা কেমন করে বুঝব কত ট্যান্সেফর আছে? কারন ওটাতো প্যাকিং করা থাকে, আর প্যাকেট ছিড়লেতো ওটা আনতেই হবে বাধ্যতা মূল্যক, কারন আমার জন্য প্যাকেট ছিড়লে ঐ প্যাকেট ছিড়া টি অন্য কেহ নিতে চাইবে না। তাই তো সমস্যা ??