এফএনএস ॥ সালাতের আভিধানিক অর্থ হলো দোয়া, রহমত, ইস্তিগফার ইত্যাদি। ইসলামে নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। রাসূল সা: বলেছেন, কুফরি এবং মুমিনের মধ্যে পার্থক্য হলো নামাজ। নামাজ আদায়ের বহু উপকারিতা ও ফজিলত রয়েছে যেমন : ১. আÍিক ২. শারীরিক ৩. সামাজিক ৪. পারলৌকিক।
উপরে বর্ণিত সব ফজিলত ও উপকার নফল ও ফরজ উভয় ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। আমরা মুসলমান। সেই হিসেবে আমাদের ফরজ নামাজ অবশ্যই পড়তে হয়। কিন্তু এমন কিছু নফল নামাজ আছে যা পড়লে উভয় জাহানে ব্যাপক কল্যাণ অর্জন করা যায়। রাসূল সা: বলেছেন, রমজান মাসের নফল নামাজ অন্য মাসের ফরজের সমতুল্য। তাহাজ্জুদ নামাজ : তাহাজ্জুদ শব্দের অর্থ হলো রাত জাগা, ঘুম থেকে ওঠা, এ প্রসঙ্গে কুরআনুল কারিমে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন : আর রাতের কিছু অংশে আপনি তাহাজ্জুদ পড়তে থাকুন। এটা আপনার জন্য আল্লাহর অতিরিক্ত ফজল ও করম। আশা করা যায়, আপনার প্রতিপালক আপনাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন প্রশংসিত স্থানে। (সূরা বনী ইসরাইল : ৭৯) তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত। প্রিয় নবী সা: এ নামাজ নিয়মিত পড়তেন। অত্যন্ত ফজিলত ও বরকতময় এ নামাজ। রাসূল সা: সবাইকে এ নামাজ পড়ার জন্য উৎসাহ দিতেন। তাহাজ্জুদ নামাজ ও তাহাজ্জুদ নামাজ পড়নেওয়ালাদের উদ্দেশ্যে পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে : নিশ্চয় মুত্তাকিরা থাকবে সেদিন প্রস্রবণ বিশিষ্ট জান্নাতে। উপভোগ করবে তা যা তাদের প্রতিপালক তাদের দেবেন। কারণ পার্থিব জীবনে তারা ছিল সৎকর্মপরায়ণ। তারা রাতের অতি অল্প অংশ অতিবাহিত করত নিদ্রায় এবং শেষ রাতে ইস্তিগফার (তাহাজ্জুদ নামাজ) পড়ত (সূরা জারিয়াত : ১৫-১৮) রাসূল সা: থেকে তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে অসংখ্য হাদিস বর্ণিত হয়েছে : রাসূল সা: বলেন, ‘ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে উৎকৃষ্ট নামাজ হচ্ছে তাহাজ্জুদ নামাজ’ (মুসলিম)।
হজরত সালমান ফারসি রা: থেকে বর্ণিত রাসূল সা: ইরশাদ করেন, তোমরা তাহাজ্জুদ নামাজের ব্যবস্থা করো, এটা নেক লোকদের স্বভাব, মুমিনের পরিচয়, এটা তোমাদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে দেবে। গুনাহগুলো মিটিয়ে দেবে, গুনাহ থেকে বাঁচিয়ে দেবে। শরীর থেকে রোগ দূর করে দেবে এবং মনে প্রশান্তি ও সম্মানজনক রিজিকের ব্যবস্থা করবে।’ (মুসলিম)। এভাবে কুরআন ও হাদিস শরিফে বহু ফজিলতের কথা বর্ণিত আছে। কেননা তাহাজ্জুদ নামাজ হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার সান্নিধ্য লাভের বিশেষ মাধ্যম। কেউ সফলতার উচ্চ শিখরে পৌঁছতে চাইলে তাহাজ্জুদ নামাজ তাকে পড়তেই হবে। তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সময় হলো রাতের শেষ ভাগে। রাসূল সা: এশার নামাজ শেষে ঘুমিয়ে যেতেন এবং অর্ধরাত বা তার কিছু পরে উঠে হাজাত পূর্ণ করে মিসওয়াক করে অজু করতেন এবং চার বা বারো রাকাত নামাজ পড়তেন। তাই তাহাজ্জুদ নামাজ বারো রাকাত পড়াই উত্তম। তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত। আল্লাহর ওয়াস্তে কিবলামুখী হয়ে তাহাজ্জুদের দুই রাকাত নামাজের নিয়ত করছি। আল্লাহু আকবর। কাজায়ে