ই-কমার্স কি?
ইলেকট্রনিক কমার্স বা ই-কমার্স বা ই-বানিজ্য একটি বানিজ্য ক্ষেত্র যেখানে কোন ইলেকট্রনিক সিস্টেম (ইন্টারনেট বা অন্য কোন কম্পিউটার নেটওইয়ার্ক) এর মাধ্যমে পণ্য বা সেবা ক্রয়/ বিক্রয় হয়ে থাকে। আধুনিক ইলেকট্রনিক কমার্স সাধারণত ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব এর মাধ্যমে বানিজ্য কাজ পরিচালনা করে। এছাড়াও মোবাইল কমার্স, ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার ও অন্যান্য আরো কিছু মাধ্যম ব্যবহৃত হয়।
আমাদের কাছে এখন ই-কমার্স শব্দটি বেশ পরিচিত। আমরা সাধারণত ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোন পণ্য কেনাকাটা করাকেই ই-কমার্স বলে থাকি।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ই-কমার্স
বাংলাদেশে ই-কমার্স ব্যবসায়টি নতুন। ২০১০ সালের দিকে বাংলাদেশে চালু হয় ই-কমার্স এর ধারনা। কিন্তু এখন 2017 সালের প্রেক্ষাপটে বলা যায়, অনেক জনপ্রিয় ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে ই-কমার্স। ২০১০-১১ সালে বাংলাদেশে ই-কমার্সে মোট ব্যবসার পরিমাণ ছিল ৮০ কোটি টাকা। আর সবচেয়ে বড় কথা হল ২০১৩ সালে বাংলাদেশে ই-কমার্স ১৫০ শতাংশ বেশি বেড়েছে ২০১২ সালের তুলনায়। এতে সহজেই বোঝা যায় বাংলাদেশে ই-কমার্স এখন দিনের পর দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তবে বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের তুলনায় ই-কমার্সে বেশ পিছিয়ে। যেখানে উন্নত দেশগুলোর মানুষ অনলাইন শপিং-এর উপরেই বেশী নির্ভরশীল আর সেখানে আমরা সবেমাত্র অনলাইনে শপিং করা শুরু করেছি । তবে আশার কথা হল বাংলাদেশে কাজ করে যাচ্ছে বেশ কিছু ই-কমার্স সাইট এবং তরুণ উদ্যোক্তারা। আশা করা যায় আর কয়েক বছরের মাঝেই এসব তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রচেষ্টা বাংলাদেশকে নিয়ে যাবে ই-কমার্স খাতে এক নতুন কোঠায়। পাশাপাশি এই খাতকে আরও উন্নত করতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ এখন ই-কমার্স এক অপার সম্ভাবনাময় খাত। যা আমাদের কেনাকাটাকে করবে আরও গতিশীল, সাশ্রয়ী এবং সহজ।
ই-কমার্স ওয়েবসাইটের সুবিধাসমূহ
ই-কমার্স ওয়েব সাইটে বিক্রয়যোগ্য বিভিন্ন ধরনের পন্য বা সেবার মূল্যসহ অন্যান্য বিবরণ দেওয়া থাকে। ক্রেতা ই-কমার্স ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নির্দিষ্ট পণ্যের অর্ডার দেন। অর্ডার গ্রহন করার জন্য ওয়েবসাইটে মূল্য পরিশোধের ব্যবস্থা থাকে। এখানে ক্লিক করলে ক্রেতার নিকট নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ পরিশোধ করতে বলা হয়। ক্রেতা প্রদত্ত কার্ডের প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সরবরাহ করে সম পরিমান অর্থ প্রদান করে। অর্থ পাওয়ার পর অর্ডার ফরমটির যাবতীয় কাজ শেষ হয়ে যায়। এ সংক্রান্ত তথ্য একই সাথে ই-মেইল আকারে ক্রেতা এবং বিক্রেতার নিকট প্রেরণ করা হয়। এরপর ক্রেতার নিকট পণ্য সরবরাহ করা হয়। ক্রেতা বেশি পরিমাণ পণ্য ক্রয় করলে বা প্রতিষ্ঠানের আওতাভুক্ত হলে পরিববহনের জন্য কোন ফি আদায় করা হয় না আবার অল্প পরিমাণে পণ্য ক্রয় করলে বা ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের আওতাভুক্ত না হলে পরিববহনের জন্য পণ্য মূল্যের সাথে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয়। এটা অনেকাংশে নির্ভর করে পণ্য বিক্রয় কারী প্রতিষ্ঠানের উপর।
ই-কমার্স সাইটে আপনি যে সকল সুবিধা পাবেন
- অনির্দিষ্ট পেজ
- অনির্দিষ্ট পণ্য যোগ
- ইউনিক ডিজাইন
- ফেসবুক পেজ
- ইউজার লগ ইন/ নিবন্ধন প্রক্রিয়া
- যে কোন সময় পণ্য যোগ/কর্তন করতে পারবেন
- পিকচার আপলোড
- কালার/ব্র্যান্ড অনুযায়ী পণ্য খোঁজা
- পণ্যটি বড় কিংবা ছোট করে দেখতে পারবেন
- অনলাইনে পণ্যের মূল্য পরিশোধের সুযোগ
- স্যোসাল মিডিয়া শেয়ার অপশন
- মোট বিক্রয়ের পরিমাণ নির্ণয়
- গ্রাহকের মতামতের ব্যবস্থা
- যে কোন জায়গায় বসে পরিচালনা করতে পারবেন
- অনির্দিষ্ট ইউজার ব্যবহার করতে পারবেন
টেলিফোনে বা ই মেইলের মাধ্যমে পণ্য সম্পর্কে নিয়মিত নিত্য নতুন তথ্য আপডেট করার মাধ্যমে আপনি আপনার গ্রাহকদের উন্নতমানের সেবা প্রদান করতে পারেন। এর পাশাপাশি আপনার প্রতিনিয়ত আপডেটই আপনার ওয়েব সাইটের ক্লায়েন্ট বা ভিজিটরদের আপনার সাইট থেকে তাদেরকে পণ্য কিনতে পুনরায় আগ্রহী করে তুলবে।
সময়ের সাথে সাথে, আপনার ওয়েব সাইটের অ্যানালাইটিকস ও কাস্টমারদের মতামত আপনার ওয়েবসাইটটিকে আরও জনপ্রিয় করতে সাহায্য করবে এবং ইন্টারনেটে আপনার ব্যবসাকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যাবে।
এ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন।