প্রাকৃতিক নৈসর্গিক বিনোদন কেন্দ্র বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিরসসরাইয়ের মহামায়া ইকো পার্ক। যেখানে গিরি-নদীর মিলনস্থলে ছায়া হয়ে দিগন্তে মিশে গেছে নীলাকাশ। এ যেন কোনো শিল্পীর ক্যানভাসে কল্পনার রঙে আঁকা ছবি। নামেই যেন একটি মায়া ছড়িয়ে আছে। সত্যিই মহামায়া তার মায়া ভোলানো সৌন্দর্য দিয়ে হাতছানি দিয়ে ডাকছে ভ্রমণ পিপাসুদের। মহামায়া ইকো পার্কের একটি ভিডিও আপনাদের জন্য শেয়ার করলাম
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের ঠাকুরদিঘী এলাকায় প্রকৃতির অপরূপ রূপে সজ্জিত ‘মহামায়া’র অবস্থান। চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ৮ নম্বর দুর্গাপুর ইউনিয়নের ঠাকুরদিঘী বাজার থেকে দুই কিলোমিটার পূর্বে পাহাড়ের পাদদেশে গড়ে তোলা ১১ বর্গ কিলোমিটারের কৃত্রিম লেক নিয়ে গঠিত এ স্থান। ঢাকা – চিটাগং হাইওয়ে দিয়ে যেতে হবে মিরসরাই ঠাকুরদা দিঘি তে। এরপর ডান দিকে আরও ১.৫০ কিলো যেতে হবে। পথে সাইনবোর্ড দেখতে পাবেন “মহামায়া সেচ প্রকল্প। এই প্রকল্প টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ এ উদ্ভোদন করেন। পথে আবার সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথ পাহাড় যাবার রোড দেখতে পাবেন।
এখানে প্রতিদিন ঘুরতে আসেন নানা পেশার নানা বয়সের মানুষ। কারণ এখানে রয়েছে লেক, পাহাড়, ঝর্ণা ও রাবার ড্যাম। লেকে চাইলে আপনি সাতার কাটতে পারেন এবং ইঞ্জিন চালিত নৌকায় চড়তে পারেন। প্রতিনিয়ত মহামায়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য আর পাহাড়ী ঝর্ণার মাধুর্য্যে আত্মহারা হয়ে উঠেন হাজার হাজার পর্যটক। মহামায়া কৃত্রিম লেক ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকদের রূপে ও মাধুর্যে মুগ্ধ করে।
পরিবার-পরিজন নিয়ে দূর থেকে অনেকেই চলে আসেন মহামায়ার মায়ার টানে। বন্ধু-স্বজন সঙ্গে নিয়ে বারবার ছুটে আসছেন পাহাড়ের কোল ঘেঁষে বয়ে যাওয়া নিরবধি পানির কলধ্বনি শুনতে। সব বয়সের নারী পুরুষ শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী এখানে এসে একাত্ম হয়ে যান আনন্দ উৎসবে।