পুরনো শহর মানে-স্মৃতির শহর,
বহুদিন পর সেই পুরনো স্মৃতির শহরে ফেরা মানে-
স্মৃতির আয়নায় নিজেকে মুখোমুখি দাড় করানো….
কত স্মৃতি,কত মুখ
কত উদাস দুপুর,বিষন্ন গোধূলী, জোছনা-মাখা রাত…
ফেলে আসা ক্ষণগুলো মুহুর্তে হৃদয়ে ভীড় করে।
আর সেই সব সকাল-দুপুর-সন্ধ্যা-নিশার পটভূমিতে
কোন কোন মুখ আবার অবিকল মনে জাগে,
হৃদয়ের অতলান্তে ঝড় তুলে….

তেমনি একটি মুখ সুলতা!
বহুদিন আগের এই শহরে একটি মানবীর মায়াবী মুখ-
যে মুখ স্বপ্ন দেখাতো বেচে থাকার,
পথচলায় যোগাতো প্রেরণা–
স্মৃতির শহরে ফিরে এলে তাকে তো মনে পড়বেই,
তাকেই আরো বেশী মনে পড়বে-
মনে পড়াটাই স্বাভাবিক ও মানবিক।

যদিও দীর্ঘ দিনে দৃশ্যপট,
চেনা পথ-ঘাট সবই পাল্টে গেছে,
তবু মনের গভীরে লুকিয়ে থাকা
অতৃপ্ত প্রেম আবার জেগে উঠবেই,
তৃষিত নয়ন মনে মনে খুজবে সেই চেনা মুখ ;
ফিরে চাইলেই কি সবই ফিরে পাওয়া যায়,
যায়না।

তেমনি সুলতা নামের কেউ একজন
একদিন এ হৃদয়ে সুখ সুখ বেদনার অনুভব জাগিয়েছিল
তাকে ও আর খুজে পাওয়া যায়নি,
হয়তো যাবে ও না কোনদিন।
সুলতা’রা বুঝি এমনি করেই জীবনে আসে
স্বপ্ন দেখিয়ে এক সময় স্বপ্ন ভেঙে দিয়ে চলে যায়,
আর সেখান থেকেই শুরু হয়
তরুণ কবির হৃদয়ে গোপন রক্তক্ষরণ….
উজ্জ্বল পংক্তিমালার নীচে চাপা পড়ে থাকে
মর্মভেদী সহস্র সহস্র হৃদয় বিদারক দীর্ঘশ্বাস ॥

************

[কবি শফিকুল ইসলামের “শ্রাবণ দিনের কাব্য” গ্রন্থ থেকে উদ্ধৃত]
গ্রন্থের নাম-”শ্রাবণ দিনের কাব্য” লেখক- শফিকুল ইসলাম। প্রচ্ছদ-শিবু কুমার শীল। প্রকাশক- আগামী প্রকাশনী ৩৬ বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০।