আজকে প্রকাশিত হচ্ছে আরিফুল ইসলাম সাকিবের (ফেসবুক)সাক্ষাৎকার। ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্যারিয়ার হিসেবে মূলত গ্রাফিকস সেক্টরকেই সে বেছে নিয়েছে। মাদ্রাসার ছাত্র হওয়ার পরও ক্রিয়েটিভ আইটি ইন্সটিটিউট হতে গ্রাফিকস প্রশিক্ষণ নিয়ে শুরু করে আউটসোর্সিংয়ের কাজ। ইতিমধ্যে ওডেস্কে (ওডেস্কে তার আইডি) শেষ করেছে ৫০০ ঘন্টার কাজ।
অন্য মার্কেটপ্লেস, পিপল পার আওয়ারেও সম্পন্ন করেছেন অনেকগুলো কাজ। আউটসোর্সিং বিষয়ে ভবিষ্যতের স্বপ্ন অনেক বড়. সেই লক্ষ্যে একটি টীম গঠন করারও উদ্যোগ নিয়েছেন। তার মুখেই শোনা যাক তার নিজের গল্প।
১। ফ্রিল্যান্সিংয়ে কিভাবে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন?
উত্তর: ফ্রিল্যাসিং সম্পর্কে তখন আমার আইডিয়া একেবারেই নতুন, কোন কিছুই জানতাম না কিভাবে কি শুরু করতে হয়? আমার এক শ্রদ্ধা ভাজন ভাই (মোঃ নাসির উদ্দিন) সহযোগিতায় এবং পরামর্শের মাধ্যমে ফ্রিল্যাসিং সম্পর্কে আগ্রহী হই এবং তার একান্ত সহযোগিতার কারনেই প্রথম কাজ শেখার সুযোগ পাই।
২। কবে থেকে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে ছিলেন? সাধারণত কি কাজ করেন?
উত্তরঃ ২০১৩ সাল আমার জীবনের একটি টার্নিং পয়েন্ট। কাজ শেখার পাশাপাশি মার্কেট প্লেসে কাজ করার চেষ্টা করতাম কিন্তু তখনও কোন জবই পাইনি। নাসির ভাইর পরামর্শ এবং আহসান উল্লাহ্ নোমান ভাইয়ের সহযোগিতায় প্রথম ওডেক্স প্রোফাইল তৈরী করি। ২০১৩ ডিসেম্বরে গ্রাফিক্সের উপরে প্রথম কাজ পাই। এখনও গ্রাফিক্সের উপরেই কাজ করতেছি।
৩। ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ শিখেছিলেন কিভাবে?
উত্তর: প্রথমে নাসির ভাইয়ের হাতে গ্রাফিক্স ডিজাইনের হাতেখড়ি হলেও পরে প্রশিক্ষনের জন্য ক্রিয়েটিভ আইটি লিঃ ভর্তি হই। সেখান থেকেই গ্রাফিকস বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করি। এ প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর, মনির স্যারের আন্তরিকতা আমাকে শিখতে সাহায্য করেছে অনেক বেশি।
৪। কোন মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করেন? কেন?
উত্তর: বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় মার্কেট প্লেস oDesk.com, আর যেহেতু আমার প্রথম প্রোফাইল তৈরী হয় ওডেক্সে, তাই ওডেক্সেই বেশি কাজ করি। এছাড়াও Peopleperhour এ অনেক গুলো কাজ শেষ করেছি।
প্রথমে কাজ পাওয়া কঠিন হলেও প্রোফাইল তৈরী হলে পরবর্তীতে কাজ পাওয়া সহজ হয়ে যায়, ওডেক্সের পেমেন্টও ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাকিং এর মাধ্যমে সহজেই উত্তোলন করা যায়। সেজন্য ওডেস্ক মার্কেটপ্লেসটি আমার পছন্দ।
৫। ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজে প্রথমবার কত পেমেন্ট পেয়েছিলেন? কাজ কি ছিল? সেই টাকা দিয়ে কি করেছিলেন?
উত্তর: আমার প্রথম কাজ ছিলো একটি লোগো কারেকশন করা। আর এর বাজেট ছিলো মাত্র ৬ ডলার। কিন্তু তখন এটাই ছিলো আমার কাছে অনেক বেশি এবং অনেক প্রত্যাশার। সেই টাকার সাথে আরো কিছু কাজের টাকা মিলিয়ে নিজের স্কিল ডেভলপমেন্টের জন্য কাজ শিখি।
৬। ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয় করা পেমেন্ট কিভাবে উত্তোলন করেন?
উত্তর: ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাকিং এর মাধ্যমে উত্তোলন করা গেলেও পেপালের অভাব প্রতি নিয়তই সহ্য করতে হয়।
৭। ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি?
উত্তর: ইতিমধ্যে চার সদস্যের একটি টিম নিয়ে কাজ করতেছি। স্বপ্ন হলো উদ্দোগক্তা হিসেবে কিছু লোকের কর্ম সংস্থান তৈরী করা। বেকারত্ব দূরীকরণের সহায়ক ভূমিকা পালন করা। এলক্ষ্যে ক্রিয়েটিভ আইটি ইন্সটিটিউটে পার্টটাইম ক্লাশও নিয়ে থাকি।
৮। কাদের জন্য আপনার আজকের এ অবস্থান?
উত্তর:
ক) ক্রিয়েটিভ আইটি লিঃ এর এম.ডি মোঃ মনির হোসেন
খ) আর আর ফাউন্ডেশন ফাউন্ডার মোঃ রাসেল আহম্মেদ
গ) ইউনিক গ্রাফের ফাউন্ডার মোঃ নাসির উদ্দিন
ঘ) মোঃ আহসান উল্লাহ নোমান
ঙ) মোঃ ই.এ সিবলু
চ) আহম্মেদ ফিরুজ
ছ) মুশফিকুর ইসলাম
এবং সকল অনলাইন সিনিয়র ভাইয়েরা। যারা প্রতিনিয়ত আমাকে হেল্প করেন এবং গুরুত্বপূর্ন পরামর্শ দেন।
৯। ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজে আপনি দিনে কত ঘন্টা ব্যয় করেন? কোন সময়টিতে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন?
উত্তর: প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘন্টা কাজ করি। সকালে ফজরের নামাজের পর কাজ পাওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে, তাই সেই সময়ই বেশি কাজ করা হয়।
১০। ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করতে আগ্রহীদের সফল হওয়ার পথে অন্তরায় কি বলে মনে করেন?
উত্তর: যথাযথ হাই স্পীড ইন্টারনেটের সঠিক সরবারহ না থাকা এবং পেপাল অভাবে পেমেন্ট নিয়ে প্রতি নিয়ত সমস্যার সম্মুখিন হওয়া যা আজ বাংলাদেশে ই-কর্মাস বিজনেসের এক মাত্র অন্তরায়।
১১। অনলাইনে আয় করতে হলে কি কি প্রস্তুতি নিতে হবে বলে মনে করেন?
উত্তর: নিজের পছন্দের যে কোন একটি বিষয়ের উপরে দক্ষ হতে হবে। ঐ বিষয়ে কম্পিটিশনে জয়ই হওয়ার মানসিকতা নিয়ে কাজ শিখতে হবে।
১২। বাংলাদেশের যারা অনলাইনে আয় করতে ইচ্ছুক, তাদের জন্য আপনার পরামর্শটি জানান।
উত্তর: সময় দিয়ে কাজ শিখতে হবে, ধৈর্য্য ধরে লেগে থাকতে হবে।
এক সাথে প্রকাশ: genesisblogs
ভাই খুব খুব খুব ভালো লাগলো । আপনার সাথে দেখা করতে মন চাচ্ছে।
নতুন বন্ধু পেয়ে আমাদের ভুলে যেয়েন না………. plz
😀
#আরিফুল_ইসলাম_সাকিব ভাইয়ের জন্য অনেক শুভ কামনা রইল।আমার ও ফ্রিল্যান্সিং এর উপরে খুব আগ্রহ যদি ও আমি দেশের বাহিরে একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করি।আপনাদের সাফল্যের গল্প যখন পড়ি তখন আগ্রহ টা কয়েক গুন বেড়ে যায়।
😀
Sakib vaiyer eagerness, effort and confidence amake mugdho korese! Go ahead sakib! I want to be with you!!