ডালে মাংসের মতো বেশি পরিমাণ আমিষ থাকে অথচ মাংস অপেক্ষা ডালের দাম কম। ভাতের সাথে মিশিয়ে ডাল খেলে উভয়ের অামিষের হজম বৃদ্ধি পায়। ডালের দাম এখনও মাছ, মাংস অপেক্ষা কম রয়েছে। বাংলাদেশে ডালকে গরিবের মাংস বলা হয়ে থাকে। অধিক পরিমাণ ডাল ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের পুষ্টি সমস্যা দূবীভূত করা যেতে পারে।
বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতি বছর বিদেশ থেকে প্রচুর ডাল আমদানি করতে হয়। ডালের মাথাপিছু দৈনিক প্রাপ্যতা হচ্ছে মাত্র ১২ গ্রাম, অথচ চাহিদা প্রায় ৪৫ গ্রাম।
নিম্নলিখিত কারণে বাংলাদেশের জন্য ডাল ফসল তথা ডালের অামিষের গুরুত্ব খুবই বেশি-
- বাংলাদেশে মাংস ব্যয়সাপেক্ষ খাদ্য।
- ডাল চাষ পদ্ধতি বাংলাদেশে পরিচিত।
- ভূমির উর্বরতা রক্ষায় ডাল ফসলের অবদান রয়েছে।
- ডাল সুস্বাদু, প্রায় সবাই খায়।
- ডাল রান্না সহজ।
- বয়স্কদের আমিয়ের চাহিদা পূরণে ডালের গুরুত্ব বেশি।
- ডাল পশু-পাখির উত্তম খাদ্য।
- ডাল সহজে হজম হয়।
- বাংলাদেশের জমি ডাল চাষের উপযোগী।
- অন্যান্য দানা ফসলের চেয়ে ডালের বাজার মূল্য বেশি।
- ডাল চাষে আয় বেশি।
- ডাল গাছ ও দানার সকল অংশ ব্যবহার যোগ্য।
- সারা বছর ডাল চাষ করা যায়।
- পারিবারিক পর্যায়ে ডাল সংসক্ষণ করা যায়।
- পারিবারিক পর্যায়ে ডাল প্রক্রিয়াকরণ করা যায়।
- ডাল অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যে মিশেয়েও ব্যবহার করা যায়।
ডালের পুষ্টিমানঃ খাদ্য ফসল হিসেবে ডালের পুষ্টিমান খুব গুরুত্বপূর্ণ। ডালের পুষ্টির প্রধান প্রধান বিষয় উল্লেখ করা হলো-
- ডালে আমিষের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ২৮%।
- ডালে চর্বিদ্রব্য ৫-৬%।
- ডালে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ ৮০-২০০ মিলিগ্রাম।
- ডালে ফসফরাসের পরিমাণ ৩৮৫-৪২০ মিলিগ্রাম।
- রান্না করার চেয়ে খোসাসহ ডালে আঁশের পরিমাণ বেশ্
- ডালে খনিজ পদার্থ প্রায় ২-৩.৫%।