বাংলাদেশের আবহাওয়া বিচারে ডাল ফসলের উৎপাদন মৌসুমকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। বর্ষা শেষে শীতকালীন শুষ্ক মৌসুমে উৎপাদিত ফসলকে রবি, প্রাক বর্ষা মৌসুমে শুরু করে বর্ষাকালের প্রারম্ভে কর্তনযোগ্য ফসলকে খরিফ-১ এবং ভরা বর্ষাকালে শুরু করে বর্ষা শেষে কর্তনযোগ্য ডাল ফসলকে খরিফ-২ ডাল ফসল হিসেবে অভিহিত করা হয়।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বিশেষ করে বরিশাল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলায় আমন ধান কাটার পর নাবী রবি মৌসুমে মাশকলাইয়ের চাষ করা যেতে পারে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাসমুহে (যশোর, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙা, কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর) সরিষা বা অন্যান্য রবি শস্য কাটার পর বপনপূর্ব সময়ে হালকা সেচ দিয়ে ব্যাপকভাবে উচ্চ ফলনশীল ডাল চাষ হয়ে থাকে।
দেশের প্রায় সর্বত্রই খরিফ-২ মৌসুমেও ডাল ফসলের চাষ হয়ে থাকে। ডাল ফসলকে সহজেই ফসল বিন্যাসে খাপ খাইয়ে নেয়া যায়। সময়মতো বপন করতে পারলে বোগ-বালাই ও পোক-মাকড়ের আক্রমণও অনেক কম হয়্ সার্বিকভাবে পুষ্টি ঘাটতি পূরণে ডাল ফসল গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।