পরম করুনাময় আল্লাহ্ এর নামে শুরু করলাম

 

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালই আছেন, আমি ও আমরা আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহ্র অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছি। তবে আর কথা বাড়িয়ে লাভ কি? বেশি কথা না বাড়িয়ে কাজের কথায় আসি।

**যারা ল্যাপটপে কাজ করতেছেন এমতাবস্থায় মাঝে মাঝে দেখা যায় আপনার হাতে একগাদা কাজ। অথচ, হঠাৎ করে ল্যাপটপের ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে গেছে। কাছাকাছি কোন পাওয়ার সকেটও নেই, যেখান থেকে ল্যাপটপটি চার্জ দিয়ে নিতে পারেন। অথবা বিদুৎও নেই। তখন কি করার? ল্যাপটপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের এ ধরনের সমস্যায় পরাটাই সাভাবিক। দুশ্চিন্তার কারণ নেই। কারণ, ব্যাটারির আয়ু দীর্ঘায়িত করার কিছু সহজ সমাধান রয়েছে। ল্যাপটপ ব্যবহারকারীদের উচিত এ বিষয়গুলোকে দৈনন্দিত অভ্যাসে পরিণত করে নেয়া। তা হলে আর অনাকাঙ্খিত বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না।

**নিচে সহজ ৬টি টিপস দেয়া হলো:

১. Display মোবাইলের মতো ল্যাপটপ স্ক্রিনও বেশি পাওয়ার ব্যবহার করে। সে কারণে স্ক্রিনের ব্রাইটনেস বা উজ্জ্বলতা চোখের জন্য সহনীয় মাত্রায় যতোটা কমিয়ে ব্যবহার করা যায়, ততোটাই ভালো। যদি আপনার কিবোর্ডে ব্যাকলাইট থাকে, তবে সেটিও সেটিংস থেকে বন্ধ করে দিন। এতে ব্যাটারির আয়ু দীর্ঘায়িত হবে।

২. এক্সটার্নাল ডিভাইস: ল্যাপটপের ইউএসবি পোর্টে যে কোন ধরনের এক্সটার্নাল ডিভাইস চালু থাকলে, তা আপনার ল্যাপটপ থেকে অনবরত পাওয়ার টানতে থাকবে। এক্সটার্নাল ডিভাইসটির কাজ শেষ হয়ে গেলে, সেটি ইউএসবি পোর্ট থেকে খুলে ফেলার অভ্যাস রাখার চেষ্টা করুন, অথবা জরুরী না হলে তখন এক্সর্টানাল ডিভাইস ব্যবহার না করে, যখন বিদুৎতের  কাছে থাকবেন তখন বিদুৎ সংযোগ দিয়ে তারপর ব্যবহার করুন।

৩. ওভারহিটিং বা অতিরিক্ত গরম হওয়া: ল্যাপটপ বেশি গরম হলে, ভেতরের ফ্যানগুলো আরও দ্রুত ঘুরতে শুরু করে। আর তা স্বাভাবিকভাবেই বেশি ব্যাটারি খরচ করে। সে কারণে একটি ল্যাপটপ কুলার কিনে নিন। এতে আপনার ল্যাপটপটি অতিরিক্ত গরম হবে না।

৪. হাইবারনেশনে রাখুন: ল্যাপটপ স্ট্যান্ডবাই মোডে না রেখে হাইবারনেশনে রাখুন। এতে আপনার কম্পিউটারটি বন্ধ হয়ে যাবে ও ব্যাটারির চার্জ অনেক বেশি সময় থাকবে। হাইবারনেশনে ল্যাপটপ বন্ধ হলেও, আপনি শেষ যেভাবে কাজগুলো সংরক্ষণ করছিলেন বা যে উইন্ডোগুলো খুলেছিলেন, ল্যাপটপটি চালু করলে ঠিক সে অবস্থাতেই সেগুলো পাবেন (যদিও এতে বাওস ব্যাটারী ডাউন হয়ে যায় তারাতারী)।

৫. উইন্ডোজের পাওয়ার প্ল্যান: ল্যাপটপে উইন্ডোজের সঙ্গে বিল্ট-ইন পাওয়ার প্ল্যান সেটিংসও পাচ্ছেন। তাই চিন্তার কিছু নেই। বিভিন্ন অপশন; যেমন- ডিসপ্লে ব্রাইটনেস বাড়ানো বা কমানো, কখন ডিসপ্লে ডিম বা অনুজ্জ্বল করতে এবং বন্ধ করতে চান, হার্ড-ড্রাইভসমূহ ও ইউএসবি পাওয়ার বন্ধ করতে চান, সেগুলো সংযোজিত রয়েছে।

৬. ব্যাটারি কেস: এ অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যাটারির সম্পূর্ণ স্ট্যাটাস দেখায়। শুধু তাই নয়। কতোটুকু ব্রাইটনেসে ব্যাটারি কতোক্ষণ চলবে সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে সেখানে। ব্যাটারির বর্তমান কন্ডিশন কেমন, তাও জানতে পারবেন। সিপিইউ ও হার্ড-ড্রাইভ অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলেও, সেটা প্রদর্শন করে ব্যাটারি কেস অ্যাপ্লিকেশন।

***আশা করি এই টিউনটি আপনাদে কাজে আসবে, যদি কাজে আসে তাহলে একটি মন্তব্য আশা করি**

তাহলে আজ এই পর্যন্তই আলোচনা রাখলাম, আবার পরবর্তি পোষ্ট নিয়ে খুব তারাতারিই আপনাদের মাঝে হাজির হব, ততক্ষন আমাদের থাকুন।

আগামি পর্বে থাকছে (আপনাদের মতামতের উপর ভিত্তি করে টিউন করব)

ভুলে ভরা জীবনে ভুল হওয়াটা অসম্ভব কিছু নয়,যদি আমার লেখার মাঝে কোন ভুলত্রুটি থাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ সবাই ভাল থাকবেন।

আপনার কম্পিউটার সমস্যা সমাধানে আমরা আছি ফেসবুকে: পিসি হেল্প সেন্টার

আমাদের সাইটের সকল পোষ্ট আপনার ফেসবুকের ওয়ালে পেতে পেজ লাইক করুন (পিসি হেল্প সেন্টার)

আপনি কি ডোমেইন+হোষ্টিং/নতুন ওয়েব সাইট তৈরী করার কথা ভাবছেন? তাহলে এখনই যোগযোগ করুন www.shaplahost.com

আমাদের ইসলামিক সাইটঃ www.islamicambit.com

আমাদের ডোমেইন এবং হোষ্টিং সার্ভিসের আরো একটি সাইট দেখতে পারেনঃ www.hostambit.com