ইউটিউবার হিসেবে যারা শুরু করতে যাচ্ছেন বা চাচ্ছেন তাদের বেশিরভাগই প্রথমবার এই সমস্যাটার সম্মুখীন হন । কোন আইডিয়া কতটা লাভজনক এটা নিয়ে চিন্তা করতেই বড় একটা সময় পার হয়ে যায় । বাংলাদেশ ইউটিউব সংস্কৃতির দিকে তাকালে একটি সাধারণ চিত্র ফুটে ওঠে । বিনোদন মূলক চ্যানেলের ছড়াছড়ি । কিন্তু এর বাইরেও রয়েছে বিশাল এক জগৎ যা আমরা তুলে ধরতে পারি আমাদের চ্যানেলে ।

এই পর্বে আমি ১০টি চ্যানেল আইডিয়া তুলে ধরব, আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে..

১০) রিভিউ ভিডিওঃ বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে এটি অতটা লাভজনক না হলেও আন্তর্জাতিক ভাবে এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে বেশ । বিভিন্ন পণ্য রিভিউ করার মাধমে আপনি হতে পারেন বিশ্বখ্যাত ইকমার্সগুলোর এফিলিয়েট পার্টনার ।
০৯) ভ্রমন ভিডিওঃ সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে এই ধরণের ভিডিও তৈরির প্রবণতা বেশ ভালোভাবেই শুরু হতে যাচ্ছে । এবং নিঃসন্দেহে বলা যায় এই সংখ্যাটা আগামী বছরগুলোতে ইতিবাচক অবদান রাখতে যাচ্ছে ।
০৮ ) রান্নার ভিডিওঃ বাংলাদেশে বেশ কিছু ভালো মানের রান্নার চ্যানেল এখন কাজ করছে । নতুন নতুন রেসিপি নিয়ে আপনিও শুরু করতে পারেন আপনার অনলাইন রান্নাঘর ।
০৭) পশুপাখির ভিডিও: পশুপাখির অদ্ভুত আচরণ বা তাদের কাণ্ড-কারখানা নিয়ে তৈরি ভিডিও। যেমন আপনার বিড়াল থাকলে বিড়ালটির নিয়মিত অদ্ভুত বা মজার ব্যাপারগুলো রেকর্ড করে আপলোড করতে পারেন।
০৬) বাচ্চাদের ভিডিও: অনেক সময়ে ছোট বাচ্চাদের ভিডিও হতে পারে আকর্ষণীয় একটি টপিক। এবং বাচ্চাদের নিয়ে মজার ভিডিওগুলো দেখার জন্য প্রচুর মানুষ অপেক্ষায় আছে। তবে লক্ষ্য রাখবেন যেন কোন মতেই ভিডিওতে ভায়োলেন্স না থাকে।
০৫) চ্যালেঞ্জ ভিডিও: কাউকে কোন চ্যালেঞ্জ দিয়ে দেখা যে পার করতে পারছে কিনা এবং সেই চ্যালেঞ্জের শুরু থেকে শেষের ভিডিও রেকর্ড করেও শেয়ার করতে পারেন।
০৪) এনিমেশন/ইফেক্টঃ ভিডিও এডিটিং, স্পেশাল ইফেক্ট, ভিএফএক্স. এনিমেশন ইত্যাদি দক্ষতা যদি থাকে আপনার অথবা আপনার টিমের তাহলে এখনি শুরু হয়ে যান ।
০৩) মোটিভেশনাল স্পীকারঃ/অনলাইন শিক্ষকঃ যদি আপনার সুন্দরভাবে নিজেকে উপস্থাপন করার দক্ষতা থাকে , আপনি হয়তো ভালো মতো বোঝাতে পারেন, আপনার সাবলীল বক্তব্যের মাধ্যেমে দর্শকদের আকৃষ্ট করতে পারবেন আপনি হতে পারেন আগামীর বক্তা, আগামীর অনলাইন শিক্ষক ।
০২) মাইক্রোকন্টোলিং নিয়ে ভিডিও – রোবট, সার্কিট, ইলেক্ট্রনিক্স নিয়ে একটা চ্যানেল করা উচিত। নিজের বানানো অথবা অন্যের আইডিয়া থেকে বানানো প্রজেক্ট গুলো নিয়ে সহজ ভাষায় উপস্থাপন করে ভিডিও বানানো যেতে পারে । নষ্ট রিমোট, টর্চ, ক্যালকুলেটর, প্রয়োজনিয় ইলেক্টনিক্স জিনিসপত্র কি করে ঠিক করা যায় তার উপর।
০১) আদিম প্রযুক্তিঃ(Primitive Technology) সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের যন্ত্রপাতি এবং অবকাঠামো তৈরি করাই হলো Primitive Technology. উদাহরণ হিসেবে দেখতে পারেন
আপনাদের সাড়া পেলে ইউটিউব নিয়ে আগামী পর্বে আরো ভালো কিছু নিয়ে আসব ।

মূল লেখকঃ সিনথিয়া আফরিন ও আমি আশরাফুল হক