আসসালামু আলাইকুম। সকলকে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের টিউন। আর আজকের টিউনের মুল বিষয়টি হল ল্যাপটপের ব্যাঠারি।

বর্তমানে ডেস্কটপ কম্পিউটারের ব্যবহার দিন দিন কমে যাচ্ছে। সরকারী- বেসরকারী কিছু প্রতিষ্ঠানে গেলে ডেস্কটপ কম্পিউটার চোখে পড়ে। এছাড়া, অনেকের
বাড়ীতে আগের কিছু ডেস্কটপ কম্পিউটার রয়ে গেছে। এখন কম্পিউটার আমদানীকারী প্রতিষ্ঠানরাও ল্যাপটপ আমদানীর উপর বেশী ঝুকে পড়েছে। তাছাড়া, এখন এ দুয়ের দামের মাঝেও বেশী পার্থক্য নেই। বাংলাদেশে ল্যাপটপ ব্যবহার বাড়ার আর একটি প্রধান কারণ হলো লোডশেডিং। ছাত্র-ছাত্রীরা এ বিড়ম্বানা এড়াতে ল্যাপটপকেই বেশী পছন্দ করেন। তাছাড়, এটা বহন করতে কোন সমস্যা হয়না, বেশী জায়গা নেয়না এবং শুয়ে-বসেও কাজ করা যায়। কিন্তু যদি আপনার হাতে একগাদা কাজ থাকে। অথচ, হঠাৎ
করে ল্যাপটপের ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে গেছে। কাছাকাছি কোন পাওয়ার সকেটও নেই, যেখান
থেকে ল্যাপটপটি চার্জ দিয়ে নিতে পারেন। ল্যাপটপ
ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের এ ধরনের সমস্যায় হরহামেশাই পড়তে হয়। দুশ্চিন্তার কারণ নেই। কারণ, ব্যাটারির আয়ু দীর্ঘায়িত করার কিছু সহজ সমাধান রয়েছে।

ল্যাপটপ ব্যবহারকারীদের উচিত এ বিষয়গুলোকে দৈনন্দিন অভ্যাসে পরিণত করে নেয়া। তা হলে আর
অনাকাঙ্খিত বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না। সহজ ৬টি
টিপস্।

১. ডিসপ্লে: মোবাইলের মতো ল্যাপটপ স্ক্রিনও বেশি পাওয়ার ব্যবহার করে। সে কারণে স্ক্রিনের ব্রাইটনেস
বা উজ্জ্বলতা চোখের জন্য সহনীয় মাত্রায় যতোটা কমিয়ে ব্যবহার করা যায়, ততোটাই ভালো। যদি আপনার কিবোর্ডে ব্যাকলাইট থাকে, তবে সেটিও
সেটিংস থেকে বন্ধ করে দিন। এতে ব্যাটারির আয়ু
দীর্ঘায়িত হবে।

২. এক্সটার্নাল ডিভাইস: ল্যাপটপের ইউএসবি পোর্টে যে কোন ধরনের এক্সটার্নাল ডিভাইস চালু থাকলে, তা আপনার ল্যাপটপ থেকে অনবরত পাওয়ার টানতে থাকবে। এক্সটার্নাল ডিভাইসটির কাজ শেষ হয়ে গেলে, সেটি ইউএসবি পোর্ট থেকে খুলে ফেলার অভ্যাসই শ্রেয়।

৩. ওভারহিটিং বা অতিরিক্ত গরম হওয়া:
ল্যাপটপ বেশি গরম হলে, ভেতরের ফ্যানগুলো আরও দ্রুত ঘুরতে শুরু করে। আর তা স্বাভাবিকভাবেই বেশি ব্যাটারি খরচ করে। সে কারণে একটি ল্যাপটপ কুলার
কিনে নিন। এতে আপনার ল্যাপটপটি অতিরিক্ত গরম হবে না।

৪. হাইবারনেশনে রাখুন: ল্যাপটপ স্ট্যান্ডবাই মোডে না রেখে হাইবারনেশনে রাখুন। এতে আপনার কম্পিউটারটি বন্ধ হয়ে যাবে ও ব্যাটারির চার্জ অনেক
বেশি সময় থাকবে। হাইবারনেশনে ল্যাপটপ বন্ধ হলেও,
আপনি শেষ যেভাবে কাজগুলো সংরক্ষণ করছিলেন বা যে উইন্ডোগুলো খুলেছিলেন, ল্যাপটপটি চালু করলে ঠিক সে অবস্থাতেই সেগুলো পাবেন।

৫. উইন্ডোজের পাওয়ার প্ল্যান:
ল্যাপটপে উইন্ডোজের সঙ্গে বিল্ট-ইন পাওয়ার প্ল্যান সেটিংসও পাচ্ছেন। তাই চিন্তার কিছু নেই। বিভিন্ন অপশন; যেমন- ডিসপ্লে ব্রাইটনেস বাড়ানো বা
কমানো, কখন ডিসপ্লে ডিম বা অনুজ্জ্বল করতে এবং বন্ধ করতে চান, হার্ড-ড্রাইভসমূহ ও ইউএসবি পাওয়ার বন্ধ করতে চান, সেগুলো সংযোজিত রয়েছে।

৬. ব্যাটারি কেস: এ অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যাটারির সম্পূর্ণ
স্ট্যাটাস দেখায়। শুধু তাই নয়। কতোটুকু ব্রাইটনেসে ব্যাটারি কতোক্ষণ চলবে সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে সেখানে। ব্যাটারির বর্তমান কন্ডিশন কেমন,
তাও জানতে পারবেন। সিপিইউ ও হার্ড-ড্রাইভ
অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলেও, সেটা প্রদর্শন
করে ব্যাটারি কেস অ্যাপ্লিকেশন।

আমার সাইটঃ http://trickround.com