আইপি ক্যামেরা অথবা ওয়াই-ফাই ক্যামেরা যেটা কিনা অনেকে সময় ওয়্যারলেস ক্যামেরা হিসেবে চিনে থাকে। এই ধরনের ক্যামেরা বর্তমানে বাজারে খুবই জনপ্রিয় একটি সিসিটিভি ক্যামেরা যা ১৯৯৬ সালে Axis Communications নামে একটি প্রতিষ্ঠান বাজারে নিয়ে আসে।
বাজারে নিয়ে আসা প্রথম ক্যামেরার মডেল ছিল Axis Neteye 200 যার মাধ্যমে প্রতি ১৭ সেকেন্ডে একটি করে ছবি তুলা যেত। এছাড়া ক্যামেরাটির রেজুলেশন ছিল ০.১ মেগাপিক্সেল। পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালে Mobotix নামে একটা কোম্পানি আরেকটু উন্নত মানের আইপি ক্যামেরা বাজারে নিয়ে আসে। তবে, সর্বপ্রথম Intellio নামে একটি প্রতিষ্ঠান VCA টেকনোলজির ক্যামেরা রিলিজ করে ২০০৫ সালে।
আইপি ক্যামেরা কি?
আইপি ক্যামেরা অথবা Wi-Fi সিসি ক্যামেরা হলো এক ধরনের প্রোটেবল ক্যামেরা,যার মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোন জায়গায় বসে আপনি লাইভ ভিডিও দেখতে পারবেন। তবে এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটি পোর্টেবল ক্যামেরা। যার ফলে আপনি এটি যেকোন জায়গায় সেট করতে পারবেন।
বেশিরভাগ আইপি ক্যামেরাকে ওয়েবক্যাম বলা হয়ে থাকে। আর এগুলো সার্ভিলেন্সের কাজে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কিছু আইপি ক্যামেরার জন্যে NVR (Network video recorder) বাধ্যতামূলকভাবে প্রয়োজন হয়ে থাকে রেকর্ডিংয়ের জন্যে।
আইপি ক্যামেরার ধরনঃ
বাজারে সাধারনত ২ ধরনের আইপি ক্যামেরা পাওয়া যায়। ক্যামেরার কার্যকারিতার উপর নির্ভর করে আপনার জন্যে প্রয়োজনীয় ক্যামেরা বাছাই করতে পারেন। নিচে এগুলো নিচে বিস্তারি আলোচনা করা হলোঃ
ইনডুর ক্যামেরাঃ
এই ক্যামেরাগুলো আবাসিক এলাকা থেকে শুরু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সাধারনত ২ ধরনের ইনডুর ক্যামেরা পাওয়া যায়। এগুলো হলোঃ
- PTZ Camera
- Fixed Camera
PTZ ক্যামেরাগুলো মোশন ট্র্যাকের অথবা মনিটরিং এরিয়াতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। অপরদিকে Fixed ক্যামেরাগুলো বিশাল কোন এরিয়া পর্যবেক্ষনের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
আউটডুর ক্যামেরাঃ
এই ধরনের ক্যামেরাগুলো সাধারনত বাইরের পরিবেশ পর্যবেক্ষনের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে যেমনঃ আবহাওয়ার অবস্থা, বৃষ্টির অবস্থা। এই ক্যামেরাগুলো অনেক কম আলোতেও ছবি তুলতে পারে এবং পানিরোধক হয়ে থাকে।
সুবিধাসমূহঃ
- কোন ধরনের লোকাল স্টোরেজ লাগে না।
- সহজে স্থানান্তর করা যায়।
- যেকোন জায়গায় বসে ভিডিও লাইভ দেখা যায় ও ডাউনলোড করা যায়।
- টু-ওয়ে অডিও সিস্টেমের মাধ্যমে ক্যামেরার সামনে থাক ব্যক্তির সাথে কথা বলা যায়।
- ভিডিও অ্যানালাইসিস ও ইমেজ অ্যানালাইসিস করতে পারে।
- ডাটা এনক্রিপ্ট থাকে ।
- এনালগ ক্যামেরার চাইতে ভালো কোয়ালিটির ইমেজে প্রসেস করতে পারে।
অসুবিধাঃ
- নিরাপত্তা নিয়ে অনেক সময় প্রশ্ন উঠেছে।
- দাম তুলনামূলকভাবে বেশি।
- ক্লাউড স্টোরেজের মূল্য অনেকক্ষেত্রে বেশি।
সিসি অ্যাপে ক্যামেরা লাইভ দেখার নিয়ম:
Wi-Fi সিসি ক্যামেরা মোবাইলের সাথে কানেক্ট করার জন্যে কোম্পানি প্রদত্ত অ্যপস্ প্লে-স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে হবে।
এরপর যাবতীয় তথ্য স্ক্যান করে সহজেই ক্যামেরার সাথে সফ্টওয়্যারের সংযোগ করতে পারবেন।
কোথা থেকে কিনবেন?
বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি স্বনামধন্য কোম্পানি সিসিটিভি ক্যামেরা বিক্রি করে থাকে। তবে, আমি আপনাদের সাজেস্ট করবো Camera Vision.
Address:
Bashundhara City
Shop 37, Block # B, Level # 1,
Bashundhara City
Panthapath, Dhaka-1205.