আমার সকল তথ্যের ভিত্তি উইকিপিডিয়া, ও ইন্টারনেট
মায়া জনগোষ্ঠীর অন্তর্গত হচ্ছেন সেইসব মানুষ যারা প্রত্নতাত্ত্বিক সংস্কৃতির এবং আধুনিক জনগণ, যারা মেক্সিকোর দক্ষিণে এবং উত্তর-মধ্য আমেরিকাতে বসবাস করতো এবং তারা মায়াভাষী়পরিবারের মানুষ। প্রথমদিকে এর সময় কাল প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে খ্রিস্টপূর্ব ২০০০-২৫০ অব্দ পর্যন্ত। এর মধ্যে প্রাচীন কালে খ্রিস্টপূর্ব ২৫০-৯০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত অনেক মায়া নগরীগুলোতে তাঁরা উন্নতির উচ্চশিখরে পৌঁছেছিল এবং স্প্যানিশদের আগমনের পূর্ব পর্যন্ত পুরো পোস্টক্লাসিক জুড়ে চালিয়ে গিয়েছিল। এটি ছিলো বিশ্বের সর্বাপেক্ষা ঘন জনবসতি এবং সংস্কৃতিভাবে গতিশীল একটি সমাজ।
উচ্চস্তরের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার কারণে এবং সাংস্কৃতিক প্রসারণ করার দরুন অন্যান্য মেসোআমেরিকান সভ্যতার সঙ্গে মায়া সভ্যতাকে অনেক ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। যেমন: লেখার উন্নতি-সাধন, গ্রন্থারম্ভে উদ্ধৃত বাক্য এবং বর্ষপঞ্জিকা যা মায়ার সঙ্গে উদ্ভূত হয়নি, তবুও তাঁদের সভ্যতা তাঁদেরকে সম্পূর্ণভাবে বিকশিত করেছিল। হণ্ডুরাস, গুয়াতেমালা, এল সালভাদর এবং যতদূর দেখা যায় মায়া অঞ্চল থেকে ১০০০ কিলোমিটারের (৬২৫ মাইল) চেয়েও বেশি, মধ্যে মেক্সিকোতেও মায়ার প্রভাব লক্ষ করা যায়।
এর বাইরেও অনেক মায়া সভ্যতার প্রভাবান্বিত শিল্প এবং স্থাপত্যেরখোঁজ পাওয়া যায়, যা বাণিজ্যিক এবং সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের চিন্তাধারার ফলস্বরূপ বরং সরাসরি বাহ্যিক জয়। মায়া জনগণ কখনোই অন্তর্ধান হয়নি, প্রাচীনকালেও না, স্প্যানীয় বিজয়ীদের আগমনের সাথেও না, এবং পরবর্তীতে যখন স্প্যানীয়রা আমেরিকা মহাদেশে উপনিবেশ স্থাপন করে তখনও না। আজ, পুরো মায়া অঞ্চল জুড়ে মায়া এবং তাদের বংশধরদের বিস্তার। প্রাচীনকলাম্বিয়ান এবং ভাবতত্ত্বের জয়ের ঐতিহ্য ও ধারণার পাথক্যসূচক একটি সমষ্টির ফলাফল বজায় রাখার অর্ন্তভুক্তি। অনেক মায়াভাষী তাদের প্রাথমিক ভাষা হিসেবে আজও মায়া ভাষায় কথা বলে। রাবিনাল আচি, আচি ভাষায় একটি খেলা লিখেছেন। মায়াকে ২০০৫ সালে ইউনেস্কো মাস্টারপিস অফ দি ওরাল এন্ড ইন্ট্যানজিবল হেরিটেজ অফ হিউম্যানিটি হিসেবে ঘোষণা করেছে।
এই স্থাপত এর অর্থ নিচে আছে ছবিতে
সময়
অতীতের একটি অপরিবর্তনীয় বিন্দু থেকে মায়ার ইতিহাস গণনা করা হয়েছিল। যেমন, খ্রীষ্টান ধর্মের অংশ হচ্ছে যিশুর জন্ম, গ্রিকের প্রথম অলিম্পিক গেমস এবং রোমান সাম্রাজ্যের জন্মের রোম থেকে। তাদের বর্ষপঞ্জিকার একটি তারিখ নির্দিষ্ট করা হয়েছে (দীর্ঘের পরিমাণ), অনুবাদ করা হয়েছিল ৩১১৪ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ হিসেবে, সম্ভবত পরস্পর সম্পর্কযুক্ত একটি কাল্পনিক ঘটনাতে যেমন একটি ভীষণ বিপর্যয়ের পরে একটি নতুন বিশ্বের সৃষ্টি। খ্রীষ্টান যুগের আগের শতক থেকে, তাদের পুরোহিত জ্যোতির্বিজ্ঞানী নির্ভুলতার সঙ্গে চন্দ্র, সূর্যের গ্রহণ এবং শুক্রের কক্ষ পথ সম্পূর্ণভাবে নির্দিষ্ট করতে পারতো।
বর্ষপঞ্জিকা
K’in হল মায়া বর্ষপঞ্জিকার একটি সময় যা একটি দিনের অনুরুপ; আর উইনাল (মাস) হল মায়া বর্ষপঞ্জিকার একটি চক্র যা ২০ দিনের একটি পর্যায়কাল সংশ্লিষ্ট হয়। ১৮ উইনাল হল ১ হাব (বছর) এর একটি চক্র যা ৩৬০ দিন বুঝায়। এগুলোর সাথে যোগ করা হয়েছিল ৫ দিন যা ওয়েব ডাক হতো। এই ৫ দিনকে তারা বিশেষভাবে অমঙ্গলজনক হিসাবে বিবেচনা করা হতো। এই ৫ দিন যোগ করে ৩৬৫ দিনের একটি বর্ষপঞ্জিকার ঋতু চক্রে সংযোগ করা হয়েছিল। বর্ষপঞ্জিকা গঠন করা হয়েছিল ২০ দিনের ১ “মাস” আর ১৯ মাসে ১ বছর। মাসগুলোর নাম হলঃ
# | মাস | অর্থ |
---|---|---|
১ | Pop | মাদুর |
২ | Wo | কাল যুক্তাক্ষর |
৩ | Sip | লাল যুক্তাক্ষর |
৪ | Sotz’ | বাদুড় |
৫ | Sek | ? |
৬ | Xul | কুকুর |
৭ | Yaxk’in | নতুন সূর্য |
৮ | Mol | জল |
৯ | Ch’en | কাল ঝড় |
১০ | Yax | সবুজ ঝড় |
১১ | Sak | সাদা ঝড় |
১২ | Keh | লাল ঝড় |
১৩ | Mak | পরিবেষ্টিত |
১৪ | K’ank’in | হলদে সূর্য |
১৫ | Muwan | পেঁচা |
১৬ | Pax | গাছ লাগানোর সময় |
১৭ | K’ayab’ | কচ্ছপ |
১৮ | Kumk’u | শস্যভান্ডার |
১৯ | Wayeb’ | অমঙ্গলজনক ৫ দিন |
তাদের একটি গৌণ বর্ষপঞ্জিকার উপরে চেইন দিয়ে বেধে দেওয়া হয়েছিল, যেটি ধর্মীয় প্রথা উদ্দ্যেশ্যের জন্য ব্যবহার করা হতো এবং দেবতদের জন্য ২৬০ দিনের একত্র করে একে গঠন করেছিল, ২০ দিনের ১ “মাস” আর ১৩ মাসে ১ বছর এবং ৫২ বছর ১ শতাব্দী ছিল। এক K’atun ২০ বছর, ৩৬০ দিনের একটি চক্র যা পুনরাবৃত্তি হতো তাৎপর্য্য ব্যতীত। ২০ বছরের শুরুতে অথবা প্রান্তে K’atun প্রতিনিধিত্ব করতে গুরুত্বপূর্ণ প্রধান নগরীগুলো নির্মিত করা হয়েছিল। দিন, মাস এবংঋতুর চিরস্থায়ী প্রবাহের তালগুলো একটি অলৌকিক ঘটনা যা প্রতি সূর্যদয় এবং প্রতি সূর্যাস্ত মায়াদের ধাক্কা দিতো একটি গভীর পবিত্রে। প্রতি ভাবভঙ্গী, প্রতি মানবিক ক্রিয়াকর্ম তার আর্দশের চিহ্ন হয়েছিল যা দিন তার সাথে আন্তো, সূর্যের প্রকৃতিগুলো যা প্রত্যেক ভোরে নরকের রাজ্য থেকে আসে স্বর্গ পৌঁছতে।
মায়ার ধ্বংস
মায়ার ধ্বংসের কারণ নিয়ে এখনও বিতর্ক হয়ে থাকে, ৮ম এবং ৯ম শতকের দিকে মায়ার কেন্দ্রগুলো দক্ষিণের নিচু ভূমিতে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছিল এবং তারপর স্বল্প সময় মধ্যে ত্যাগ করা হয়েছিল। এই ক্ষয়টির স্মৃতিসৌধের উৎকীর্ণলিপিগুলো এবং বড় পর্যায় স্থাপত্য নির্মাণের একটি বিরতি সঙ্গে জোড়া দেওয়া হয়েছিল। যদিও এই তত্ত্বের কোন সার্বজনীনভাবে গ্রহণযোগ্য “অবসাদ” ব্যাখ্যা নেই, বর্তমান তত্ত্বসমূহকে দুই শ্রেণীবিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে: প্রাকৃতিক এবং অপ্রাকৃতিক।
অপ্রাকৃতিক তত্ত্বসমূহে মায়ার ধ্বংস কতিপয় নিম্ন শ্রেণীগুলোতে ভাগ করা হয়, যেমন অত্যাধিক জনসংখ্যা, বিদেশী আক্রমণ, কৃষকদের বিদ্রোহ এবং মূখ্য বাণিজ্য গমনপথের ভেঙ্গে পড়া। আর প্রাকৃতিক তত্ত্বসমূহে অনুমান হয় পরিবেশ সংক্রান্ত বিপর্যয়, সংক্রামক রোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনে অন্তর্ভুক্ত করে। প্রমাণ আছে যে, মায়ার জনসংখ্যা নিঃশেষ কৃষিবিষয়ক কার্যকরসহ পরিবেশের ধারন করার ক্ষমতা অতিক্রম করেছিল এবং megafauna এর শিকার হয়েছিল। সাম্প্রতিককালে কিছু গবেষকদের মতবাদ ছিল যে ২০০ বছরের অনাবৃষ্টির মাঝে পড়াতে মায়া সভ্যতার ভেঙ্গে গিয়েছিল। অনাবৃষ্টি তত্ত্ব উদ্ভূত হয়েছিল ভৌত বিজ্ঞানীর বিশ্লেষনের মধ্যে থেকে যারা “লেক বেডস” গুলো পড়ছিল, প্রাচীন পরাগায়ণ এবং অন্যান্য তথ্য, প্রত্নতাত্ত্বিক সম্প্রদায় থেকে না।
২০১২ রহস্য
২১শে ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে সম্পর্কে ইন্টারনেট, বই এবং টিভির প্রতিবেদনগুলোর মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে যে এই তারিখে যেকোন গুরুত্বপূর্ণ একটি ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটবে অথবা কোন বড় ধরনের বিপর্যয় হবে বলে মনে করছে। এই গুলো মায়া বর্ষপঞ্জিকার একটি চক্র (b’ak’tun) প্রান্তের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে, যদিও প্রাচীন অন্যান্য সভ্যতাগুলোর কাছে থেকেও এই ধরনের ধারনা পাওয়া গিয়েছে। এই ধারনাটি বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায় সমর্থন করেন না; ভূপদার্থবিদরাও, জ্যোতির্বিজ্ঞানী কিংবা এবং প্রাচীন মায়া মূলস্রোত পণ্ডিতগণ – এদের কেউই সমর্থন করেন না।
তবে এটা সমর্থন করা না করা আপনার বাক্তিগত বাপার
Thanks for shera 😀
thanks
admine koi kicu bolan movie dila to add hoy ai bar
r movie ta sokol part asa amon page r link dici ta ki add?
বুঝলাম না।