তীব্র গরমে প্রায় সবারই বাসায় কিংবা প্রতিষ্ঠানে এসি লাগানোর চিন্তা করেন, তবে এসি তথা এয়ার কন্ডিশনারের মত একটি উচ্চ বৈদ্যুতিক ইলেকট্রনিক্স এপ্লায়েন্স কেনার ক্ষেত্রে আসলে সঠিকটা বাছাই করাও অনেক বেশি চ্যালেঞ্জের হয়ে ওঠে। বেশির ক্ষেত্রেই আমরা কোন ভুল প্ররোচনায় এসে কেবল ব্র্যান্ড মুগ্ধতায় পরে এমন একটি এসি কিনে ফেলি, দামের সাথে যার কার্যক্ষমতা মোটেও আমাদের উপযুক্ত না!

একনজরে  WSI-RIVERINE (Supersaver)-18C

  • বিটিইউঃ ১৮০০০
  • ইনপুট পাওয়ারঃ ১৩১৮
  • রেফ্রিজারেন্টঃ আর-৩২
  • কম্প্রেসর ধরনঃ রোটারি-ইনভার্টার
  • দামঃ ৬৪ হাজার ৯০০

ইনভার্টার প্রযুক্তির এসিটিতে ব্রাসলেস ডিসি মোটর ব্যবহার করা হয়েছে, যার ফলে এটি খুবই স্মুথ এবং নিঃশব্দের সাথে কাজ করতে সক্ষম। এতে করে রাতে ঘুমানোর সময় এই এসি থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত এমন কোন যান্ত্রিক শব্দ আসবে না, যা আপনার ঘুমকে বিঘ্নিত করতে পারে। তাই এই এসিটি তার নিজের কাজ খুব ভালোভাবে করে যাবে একদম নিঃশব্দে পূর্ণ দক্ষতার সাথে। আর ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির ফলে কম্প্রেসর এর নিয়ন্ত্রণ এই এসিটিতে অনেক পরিকল্পিত, যা এসিটিকে অন্যসব ইনভার্টার এসির থেকে অনেক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী করেছে।

একটি এসির কার্যক্ষমতা কতটা ভালো এবং সেটি বাতাসে ঠিক কি পরিমাণে তাপ ছড়াচ্ছে তা নিরূপণের অনেকগুলো বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ একটি হচ্ছে এসির COP তথা কো-ইফিসিয়েন্ট অফ পাওয়ার। COP রেটিং যত বেশি হবে সেই এসির পারফর্মেন্স তত বেশি ধরা হবে, COP রেটিং পয়েন্ট মূলত ১.৫ থেকে ৪ এর ভেতর হয়। মূলত COP রেটিং ৩ এর ওপর হলে সেই এসির কার্যক্ষমতা তুলনামূলক ভালো ধরা হয়। আর এই এসির COP রেটিং পয়েন্ট ৪। তাছাড়াও দীর্ঘস্থায়ী কমপ্রেসর লাইফ, সর্বনিম্ন বিদ্যুৎ খরচ, উন্নত মোটর সবকিছু মিলিয়ে এসিটি ৭০ শতাংশ বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী।

আবাসিক এবং বাণিজ্যিক এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহারের জন্য আর৪১০এ হল একটি মানসম্মত রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস, আর ৩২ তার থেকেও পরিবেশসম্মত গ্যাস। আগে আর২২ ব্যবহার করা হত যা ছিল অজোন স্তর জন্য খুবই মারাত্তক।

যেহেতু গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর মত বৈশ্বিক সমস্যার জন্য অন্যতম দায়ী এসির মত ইলেকট্রনিক্স এপ্লায়েন্স, তাই এসিতে সঠিক এবং পরিবেশবান্ধব রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছে কিনা তাও বিবেচনার রাখা গুরুত্বপূর্ণ। রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস এর আরেকটি নিয়ামক মাত্রা হল GWP, তথা গ্লোবাল ওয়ার্মিং পটেনশিয়াল মান। GWP মান যত কম হবে এসিটি বাতাসে তত কম তাপ উৎপন্ন তথা কার্বন ছাড়বে।R-410A রেফ্রিজারেন্ট এর GWP মান ২০৯০। এবং R-32 রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস, এটির GWP মান ৬৭৫।

‘রিভারাইন সুপারসেভার’ এসিটি মাল্টি ডাইরেকশনে বাতাস প্রবাহ করতে সক্ষম। বহু এসি শুধু সিঙ্গেল ডাইরেকশনে বাতাস প্রবাহ করে, যার ফলে যারা কেবল এসির সামনে অবস্থান করে তারাই বাতাস পায়, ঘরের কোনায় কিংবা অন্য কোন স্থানে থাকা ব্যাক্তি বাতাস পায় না। তবে ‘রিভারাইন সুপারসেভার’ এসির মাল্টি ডাইরেকশনে বাতাস প্রবাহ করার সক্ষমতার ফলে সব দিকেই সমানভাবে শীতল বাতাস প্রবাহিত হবে।

‘রিভারাইন সুপারসেভার’ এসিতে আপনি পাবেন ১৬ থেকে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত টেম্পারেচার মোড । বাজারের বহু এসিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পাওয়া যায় ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তবে এতে সর্বনিম্ন ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পাবেন।

ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তি, ৪ স্তরে নানা দিক থেকে অনেক বেশি কার্যক্ষম বলে এসিটি এমনিতেও ৭০ শতাংশ বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। আর তাছাড়াও এসিটির কমপ্রেসর বিশেষ করে আমাদের দেশের উপর ভিত্তি করে তৈরি বলে আমাদের দেশের সাপেক্ষে তা অনেক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হবে অন্যান্য বাইরের এসির তুলনায়।

এসিটি দেখতে অবশ্যই আপনার আসেপাশের নিকটস্থ ওয়ালটন ডিলার শো-রুম অথবা ওয়ালটন প্লাজায় চলে যেতে পারেন। এসিতে থাকছে ৬ মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি। এসির কম্প্রেসরে আপনি পাবেন সর্বোচ্চ ১০ বছরের ওয়ারেন্টি। আরো পাবেন ৩ বছর পর্যন্ত ফ্রি বিক্রয়োত্তর সুবিধা। বর্তমানে সারা দেশে আইএসও সনদপ্রাপ্ত ওয়ালটন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কর্তৃক পরিচালিত ৭২টি সার্ভিস সেন্টার রয়েছে। যেখানে যেকোনো সমস্যায় খুব সহজেই সেবা পেয়ে যাবেন।