একটি ভালো এসি বাছাই করে কেনা মোটেও কোন সহজ কাজ নয়। প্রথমত একটি এসি কিনতে গেলে আমাদের তাঁর ভালো কার্যক্ষমতার পাশাপাশি সেটি কতটা সাশ্রয়ী তা বিবেচনা করতে হয়। তো সরাসরি কঞ্জিউমার লেভেলে বিভিন্ন রকমের এসি রয়েছে ফ্লোর মাউন্টেড এসি, উইন্ডো এসি, স্প্লিট এসি ইত্যাদি। তো ছোটো পরিসরে ব্যবহারের জন্য সবচাইতে জনপ্রিয় বর্তমানে হচ্ছে স্প্লিট এসি।

ওয়ালটন বেশ সুনামের সাথেই দেশেই আন্তর্জাতিক সকল প্রতিষ্ঠানের সাথে টেক্কা দিয়ে ইনভার্টার প্রযুক্তির নানারকম স্প্লিট এসি তৈরি করে আসছে। সম্প্রতি ওয়ালটন বাজারে নিয়ে এসেছে ভেঞ্চুরি সিরিজের সম্পূর্ণ নতুন আরেকটি ইনভার্টার প্রযুক্তির স্প্লিট এসি। নতুন এই এসিটি ২৪০০০ বিটিইউ, তথা ২টন ক্যাপাসিটির, তো আপনার জন্য কোন ক্যাপাসিটির এসি প্রয়োজন তা নিচের চার্টটি থেকে জেনে নিতে পারেন।

  • ·         মডেলঃ WSI-VENTURI-24C
  • ·         ক্যাপাসিটিঃ দুই টন
  • ·         ওয়াটঃ ৭০৩৪
  • ·         দামঃ ৭৪,৯০০

এটি ভেঞ্চুরি সিরিজের একটি ইনভার্টার প্রযুক্তির এসি, এর আগে ভেঞ্চুরি  সিরিজে ২ টনের একটি আইওনাইজার প্রযুক্তির এসি লঞ্চ করা হয়েচিলো। নন-ইনভার্টার এসি ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে সার্কিট অন-অফ হওয়ার মাধ্যমে। এখানে এসি পূর্ণ শক্তিতে চালু হওয়ার পর ঘরের তাপমাত্রা আরামদায়ক অবস্থায় এলে এসির কমপ্রেসর বন্ধ হয়ে যায়। আবার ঘরের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে গেলে, তখন চালু হয়। এভাবে বারবার এসি চালু ও বন্ধ হওয়ার কারণে, এসি বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে, যার ফলে বিদ্যুৎ খরচ বেড়ে যায়।

তার ঠিক বিপরীতে ইনভার্টার প্রযুক্তির এসি প্রথমে পূর্ণ শক্তিতে চালু হয়। পরে ঘরের পরিবেশের আরামদায়ক তাপমাত্রা ঠিক রেখে এসিটি শক্তি খরচ কমিয়ে নিয়ে আসে। এভাবে কম শক্তিতে চলার কারণে কম বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয় এবং বিদ্যুৎ খরচ কমে আসে। ইনভার্টার প্রযুক্তির এসিটিতে ব্রাসলেস ডিসি মোটর ব্যবহার করা হয়েছে, যার ফলে এটি খুবই স্মুথ এবং নিঃশব্দের সাথে কাজ করতে সক্ষম। এতে করে রাতে ঘুমানোর সময় এই এসি থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত এমন কোনো যান্ত্রিক শব্দ আসবে না, যা আপনার ঘুমকে বিঘ্নিত করতে পারে। তাই এই এসিটি তার নিজের কাজ খুব ভালোভাবে করে যাবে একদম নিঃশব্দে পূর্ণ দক্ষতার সাথে।

ঘর কতোটা এবং কত দ্রুত ঠাণ্ডা হবে তা নির্ভর করে এসির ভিতর থাকা ফ্যানের ওপর। এই ফ্যান যত বেশি বড় হবে, এই এসিকে এর ফলে তত বেশি কার্যকর বলা যাবে। এই এসিটিতে থাকছে তুলনামূলক বড় ক্রস ব্লো ফ্যান। আর এর ফলে বাজারের অন্য সব এসির চাইতে এই এসিটির কুলিং স্পিড হবে বেশি তাড়াতাড়ি। আর এই ক্রস ব্লো ফ্যানটি অতো বেশি শব্দ সৃষ্টিকারী নয়, খুবই নিঃশব্দে  কাজ করে যায়।

ভেঞ্চুরি এসিটি মাল্টি ডাইরেকশনে বাতাস প্রবাহ করতে সক্ষম। আগের অনেক এসি শুধু এক দিকেই বাতাস প্রবাহ করতে পারত, যার ফলে যারা কেবল এসির সামনে থাকে তারাই বাতাস পেতো, ঘরের কোনে বা অন্য কোন স্থানে থাকা কেউ ঠাণ্ডা সেই বাতাস পেত না। তবে ভেঞ্চুরি এসির মাল্টি ডাইরেকশনে বাতাস প্রবাহ করার সক্ষমতার ফলে সব দিকেই প্রায় সমান শীতল বাতাস প্রবাহিত করা যাবে।

ভেঞ্চুরি এসিতে আপনি পাবেন ১৬ থেকে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা বাছাই করার রেঞ্জ। অনেক এসিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পাওয়া যায় ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তবে এতে সর্বনিম্ন ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পাবেন।

আবাসিক এবং বাণিজ্যিক এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহারের জন্য আর৪১০এ হলো একটি মানসম্মত রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস। আগে আর২২ ব্যবহার করা হতো যা ছিল ওজোন স্তর জন্য খুবই মারাত্তক। অন্যদিকে আর৪১০এ রেফ্রিজারেন্ট ওজোন স্তর এবং পরিবেশের সেই ক্ষতিটা করেনা।

এসি মূলত বিদ্যুৎ খরচের দিক দিয়ে সবচেয়ে অপরের দিকে থাকা একটি যন্ত্র। আর এই কারনে কোন এসিটি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হবে , তা বাছাই করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি বুয়েট ওয়ালটনের  ১ টনের ইনভার্টার এসিতে পরীক্ষা চালিয়ে দেখেছে তাদের বিদ্যুৎ খরচ ঘণ্টায় মাত্র ৩.৭৪ টাকা। এইরকম ভাবে বোঝাই যাচ্ছে ওয়ালটনের অন্যান্য ক্যাপাসিটির এসির বিদ্যুৎ খরচও এইরকমই।  এসির মত উচ্চ ওয়াটএর যন্ত্রের ক্ষেত্রে কোইফিসিয়েন্ট অফ পারফর্মেন্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এসির কোইফিসিয়েন্ট অফ পারফর্মেন্স পয়েন্ট যতো ভালো হবে, এসিটি ঠিক ততো কর্মদক্ষতা সম্পন্ন এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হবে।

ভেঞ্চুরি এসিটি দেখতে এবং অন্যসব এসির সাথে তুলনা করতে আপনি এখনি চলে যেতে পারেন আপনার কাছের ওয়ালটন প্লাজায়। ওয়ালটন এসিতে রয়েছে ৬ মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি। ওয়ালটন এসির কম্প্রেসরে আপনি পাবেন সর্বোচ্চ ১০ বছরের ওয়ারেন্টি। আরো পাবেন ৩ বছর পর্যন্ত ফ্রি বিক্রয়োত্তর সুবিধা। বর্তমানে সারা দেশে আইএসও সনদপ্রাপ্ত ওয়ালটন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কর্তৃক পরিচালিত ৭২টি সার্ভিস সেন্টার রয়েছে। যেখানে যেকোনো সমস্যায় খুব সহজেই সেবা পেয়ে যাবেন।

এসি কেনার ক্ষেত্রে আমরা অনেকসময় কেবল বিটিইউকে প্রাধান্য দেই, তবে এই বিটিইউ তথা ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিটই এসির একমাত্র সার্ভিস মানদণ্ড নয়। আপনাকে  কোইফিসিয়েন্ট অফ পারফর্মেন্স, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী কিনা, ব্যবহৃত গ্যাস পরিবেশের ক্ষতি করবে কিনা ইত্যাদি। আর এসবের বিচারে দেশের বাজারে ওয়ালটন এসি আপনার সেরা পছন্দ হতে পারে নিঃসন্দেহে।