শীতের মৌসুম চলে গেলো, সামনে আসছে গরমের সময়, আর এখন আপনার বাসা কিংবা প্রতিষ্ঠান এর জন্য একটি দারুন এসি তো অবশ্যই দরকার। কর্মস্থল কিংবা আবাসস্থলে প্রশান্তি আনার জন্য সর্বশেষ সংযোজন হতে পারে যে ইলেক্ট্রনিকস হোম আপ্ল্যায়ান্সটি তা হল একটি এয়ার কন্ডিশনার তথা এসি। বাজার থেকে কেবল ইয়া বড় একটি সুন্দর ডিজাইন দেখে এসি কিনলেই হবেনা, সেই এসি কতোটা বিদ্যুৎ খরচ করবে, আপনার স্পেস কতোটা তাড়াতাড়ি এবং কতোটা কার্যকর ভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রন করবে তা অবশ্যই আপনাকে কেনার আগে থেকেই মাথায় রাখতে হবে।

অনেকটা সাধ্যের ভেতর দাম রেখে আমাদের দেশের আবহাওয়া এবং অবকাঠামোকে বিবেচনা করে ওয়ালটন বেশ কয়েক বছর ধরেই দেশেই তৈরি করছে অনেক ভালো মানের এয়ার কন্ডিশনার। বর্তমানে ওয়ালটন এর বিভিন্ন মডেলের এয়ার কন্ডিশনার পুরো দেশব্যাপী বেশ জনপ্রিয়ও বটে। ক্রিস্টালাইন সিরিজে এর আগে ওয়ালটন অনেক ইনভার্টার নন ইনভার্টার এসি নিয়ে এসেছে। WSN-KRYSTALINE একটি ২৪০০০ বিটিইউ তথা ২ টনের নন-ইনভার্টার এসি, যার বর্তমান বাজার মূল্য ৫৭,৯০০ টাকা।

মডেলঃ WSN-KRYSTALINE
ক্যাপাসিটিঃ দুই টন
ওয়াটঃ ৭০৩৪
দামঃ ৫৭,৯০০

যদি আপনার ঘরের বাতাস একদম বিশুদ্ধ রাখার চিন্তা করে থাকেন তবে এই এসিটি আপনার জন্য। ক্রিস্টালাইন এর এই মডেল এর সাথে আপনি পাচ্ছেন বিশেষ আইওনাইজার প্রযুক্তি। আইওনাইজার প্রযুক্তির এসি আপনার ঘরের জন্য একটি শক্তিশালী এয়ার পিউরিফায়ার হিসেবে কাজ করে। এটি বাতাস থেকে ধূলিকণা, মাইক্রোঅরগ্যানিজমস ইত্যাদি দূর করে এবং বাতাসকে শতভাগ বিশুদ্ধ রাখার কাজ করে। এই এসি থেকে নেগেটিভ আয়ন বের হওয়ার কারনে এটি দূষিত বায়ু, ব্যক্টেরিয়া, ধুলোকনা, ধোয়া সবকিছু একদম ঘরের বাইরে নিয়ে যায়।

এয়ার কন্ডিশন এর অন্যতম একটি বিরক্তিকর বিষয় হচ্ছে এর শব্দ করাটা। ঘুমের সময় যখন সামান্য কিঞ্চিত শব্দ হলেও অনেকের ঘুমের সমস্যা হয়, সেখানে তো এসির যান্ত্রিক শব্দ মেনে নেয়ার প্রশ্নই আসে না। তবে এই দিক দিয়ে ক্রিস্টালাইন এসিকে পয়েন্ট দেয়া যাবে, কেননা এসিটি যা করবে একদম নিঃশব্দে।

এসি ঘরের সব দিকে বাতাস সমানভাবে দিচ্ছে কিনা তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেবল এসির সামনে দাঁড়ালেই ঠাণ্ডা বাতাস পাওয়া যাবে, অন্য কথাও সরে গেলে পাওয়া যাবে না, তা ভালো এসির লক্ষন নয়। একটি আদর্শ এসির ঘরের সব দিকে সমান ভাবে একই মানের ঠাণ্ডা বাতাস প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। আর এই জন্য, ক্রিস্টালাইন এসিটির থাকছে আনুভূমিক এবং উলম্ব তথা মাল্টি এঙ্গেল এয়ার ফ্লো বা বাতাস প্রবাহ সুবিধা। যার ফলে ঘরের সব দিকে এসিটি সমান মাত্রায় ঠাণ্ডা বাতাস প্রবাহ করে দিতে পারবে।

ঘর কতোটা এবং কত দ্রুত ঠাণ্ডা হবে তা নির্ভর করে এসির ভিতর থাকা ফ্যান এর অপর। এই ফ্যান যত বেশি বড় হবে, এই এসিকে এর ফলে তত বেশি কার্যকর বলা যাবে। এই এসিটিতে থাকছে তুলনামূলক বড় ক্রস ব্লো ফ্যান। আর এর ফলে বাজারের অন্য সব এসির চাইতে এই এসিটির কুলিং স্পিড হবে ৪০% বেশি তাড়াতাড়ি। আর এই ক্রস ব্লো ফ্যানটি অতো বেশি নয়েসি নয়, খুবই সাইলেন্টলি এর কাজ করে যায়।

দুই টনের এই এসিতে আপনি পাবেন ১৬ থেকে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা বাছাই করার রেঞ্জ। অনেক এসিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পাওয়া যায় ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এতে সর্বনিম্ন ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পাবেন।


শুধু এসি কিনলেই কি হবে? সেই এসিটি কতোটা বিদ্যুৎ খরচ করবে? আর আদৌ সেটি কতোটা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হবে এই বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। বিদেশের সাথে বাংলাদেশ এর ইলেক্ট্রিসিটির মাত্রা ঠিক নয়, আর সে এসিগুলো তাদের দেশের জন্য উপযোগী করে বানানো, তো সেই সব এসি আমাদের জন্য ভালো হচ্ছে কিনা তা কেনার আগে বঝার উপায় থাকে না। আর এই কারনে পরে গিয়ে ফাঁকিতে পড়তে হয়।

এসির মত উচ্চ ওয়াটএর যন্ত্রের ক্ষেত্রে কোইফিসিয়েন্ট অফ পারফর্মেন্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একটি এসির কোইফিসিয়েন্ট অফ পারফর্মেন্স পয়েন্ট যত ভালো হবে, এসিটি ঠিক তত কর্মদক্ষতা সম্পন্ন এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হবে। আর এই দিক থেকেও ক্রিস্টালাইন এসিটি সঠিক অবস্থানে আছে।