কিন্তু যারা ভ্রমণপ্রিয় মানুষ তারা একটু সময় পেলেই বেরিয়ে যান মনের এই খোরাকটুকু মেটানোর আশায়। তবে এই ভ্রমটাই অনেক ধরণের হয় যেমন পরিবারের জন্য আছে ফ্যামিলি ট্যুর, নতুন জুটির জন্য আছে হানিমুন ট্যুর, বন্ধুদের জন্য রয়েছে পিকনিক, এডভেঞ্চার প্রেমীদের জন্য রয়েছে ক্যাম্পিং ট্যুর।
ক্যাম্পিং ট্যুর কি?
ক্যাম্পিং ট্যুরে সাধারণ আমাদের তরুণ সমাজটাই যেয়ে থাকে কারণ এ সময় তারা একটু এডভেঞ্চার মাইন্ডের হয়ে থাকে এছাড়া তাদের ঘুরে-ফেরা করার প্রবণতাও বেশি থাকে। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক আসলে এই “ক্যাম্পিং ট্যুর” মানে কি?
ক্যাম্পিং ট্যুরকে সাধারণত আমরা আমাদের শৈশব স্মৃতির একটি অংশ ভাবতে পারি। ছোটবেলায় আমরা কাপড় বা কলাপাতার ঘর বানিয়ে খেলা করতাম! আপনার কি মনে আছে? ক্যাম্পিং ট্যুর টাও ঐরকমের একটি আপডেট ভার্সন।
এ ট্যুরে আমরা হিমালয়ের অঞ্চলগুলোতে বা ফরেস্ট অথবা নদীর সাইডগুলোতে তাবু টানিয়ে সকালের সূর্য উঠা থেকে তারের উজ্জ্বল তারাগুলো দেখতে পারি।
এছাড়াও ক্যানভাস দেয়ালের মধ্যে ঘুমানোর এবং ক্রমবর্ধমান সূর্যের সাথে ঘুরে বেড়ানো যায়। শীতের উজ্জ্বল দিনগুলিতে ক্যাম্প সাইটের চারপাশে ঘুরে বেড়ানো এবং প্লাস্টিকের প্লেট সহজে রান্না করা খাবার উপভোগ করা যায় এ ট্যুরে।
ক্যাম্পিং ট্যুরের খরচ
অন্য ট্যুরের মতো ক্যাম্পিং ট্যুরে ততোবেশি খরচ হয়না। তাবু ভাড়া, স্থান অনুযায়ী একেক ট্যুর এ একেক রকম খরচ হয়। তবে সর্বনিন্ম ৩০০০ টাকায়ও আপনি যেতে পারবেন একটি সুন্দর ক্যাম্পিং ট্যুরে।
যে যে জিনিসগুলো সাথে রাখতে হবে
যেহেতু ক্যাম্পিং ট্যুর একটু এডভেঞ্চার টাইপের হয় তাই আপনাকে কিছু জিনিসপত্র অবশ্যই সাথে নিতে হবে যেমন লণ্ঠন, টর্চ লাইট, তাবু, আগুন জ্বালানোর উপাদান, শীতের পোশাক, রশি, প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র, ছুরি, গ্লো-স্টিক ইত্যাদি। এসব জিনিসপত্রগুলো ট্যুরে যাওয়ার দু-একদিন আগে থেকেই গুছিয়ে রাখতে হয় যেন কোন একটা রেখে না যেতে হয়।
ভ্রমণ আমাদের মনকে সতেজ করে তুলে তাই প্রতি ছুটিতে একবার হলেও দূরে কোথাও বেরিয়ে আশা উচিত হোক সেটা ফ্যামিলিকে নিয়ে অথবা একাই। ক্যাম্পিং ট্যুর বাংলাদেশে খুব বেশি জনপ্রিয় না হলেও বাহিরের দেশগুলোতে বিশেষ করে আফ্রিকার অঞ্চলগুলোতে হরহামেশাই ক্যাম্পিং ট্যুর হয়। আমাদের তরুনদেরকেও ক্যাম্পিং ট্যুরে উৎসাহ দিতে হবে যাতে করে তারা নতুন কিছু শিখতে পারে।