আমি সবসময় আমার ঘরকে গুছিয়ে রাখতে পছন্দ করি। ঘর পরিষ্কার থাকলে মনটাও ফুরফুরা হয়ে যায়।কি বলেন? চাকুরীর কারণে যদিও বেশিরভাগ সময় অফিসেই থাকতে হয় কিন্তু দিনশেষে পরিষ্কার-পরিছন্ন ঘরে বিশ্রাম নিতে পারলেই আমার সারাদিনের ক্লান্তিটা দূর হয়ে যায়। তবে নানা কারণেই ঘর ময়লা হয়ে যায় বিশেষ করে শীতের দিনে অতিরিক্ত ধুলোবালির কারণে ঘর বেশি ময়লা হয়। খুব তাড়াতাড়ি ভালোভাবে আমার ঘরকে পরিষ্কার করার জন্য ভ্যাকিউম ক্লিনার আমার নিত্যসঙ্গী।

 

চলুন দেখে নেয়া যাক কেন একটি ভ্যাকিউম ক্লিনার কেনা দরকার !

ঘরকে সুন্দর রাখার প্রথম শর্ত হচ্ছে ধুলোবালি থেকে ঘরকে মুক্ত রাখা। ঘরের দেয়াল, আসবাপত্র এবং মেঝে ঝকঝকে না হলে ঘরের সৌন্দর্য্য অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। তাই এই জিনিসগুলো সবসময় ধুলোমুক্ত রাখতে হয়।প্রযুক্তির দারুন একটি উপহার হলো ভ্যাকিউম ক্লিনার যা আমাদের জীবনকে আরো সহজ করে দিয়েছে।

ভ্যাকিউম ক্লিনার আমাকে যে সুবিধাগুলো দিয়েছে-

 

সহজ উপায়ে কার্যকর পরিচ্ছন্নতা

বাসার কার্পেটগুলো হাতে পরিষ্কার করা অনেক কষ্টকর হয়ে উঠে আমার জন্য কিন্তু ভ্যাকিউম ক্লিনার কেনার পর থেকে আমাকে আর অত কষ্ট করতে হয়না কারণ এর মাধ্যমে কার্পেটের ময়লাগুলো খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করা যায় এবং সোফার কর্ণারগুলোও পরিষ্কার করতে আমাকে এখন আর খুব বেশি ঝামেলা পোহাতে হয়না।

 

এলার্জি বা শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি দেয়

ঘর পরিষ্কার করার সময় এলার্জির ভয়ে এখন আর আমার বাবাকে বাহিরে অপেক্ষা করতে হয়না কারণ ভ্যাকিউম ক্লিনার আমাকে দিয়েছে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ঘর পরিষ্কার করার সুবিধা। এতে ধুলো-ময়লাগুলো নিয়ন্ত্রণে থাকায় বাতাসের সাথে উড়তে পারেনা তাই বাতাস থাকে দূষণমুক্ত।

 

খরচ বাচাতে ভ্যাকিউম ক্লিনার

ভ্যাকিউম ক্লিনার কেনার আগে ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য আমার বেশ ভালো টাকাই লেগে যেত যেমন ডিটারজেন্ট, ফ্লোর ক্লিনার, ঘর মুছার স্টিক এছাড়াও থাকে পানির খরচ। তাই আপনিও আপনার বাজেট অনুযায়ী খরচ বাচাতে কিনে নিতে পারেন ভ্যাকিউম ক্লিনারের মতো একটি হেল্পিং হ্যান্ড।

 

ভ্যাকিউম ক্লিনার কেনার আগে যে বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন

যেকোনো জিনিসপত্র কেনার আগেই আমাদের কিছু মূল বিষয় জেনে রাখা ভালো যেমন যেই পণ্যটি কিনবো সেটার কি কি ফিচার আছে, প্রডাক্টির ব্র্যান্ড অরিজিন কোথায়, দাম কেমন এবং কোথায় অরিজিনাল পণ্যটি পাওয়া যাবে।

ব্র্যান্ড

আমি প্রথমে ঠিক করেছি যে, কোন ব্র্যান্ড এর ভ্যাকিউম ক্লিনারটি আমার চাই। যদিও বাজারে কমদামে অনেক নন-ব্র্যান্ড ভ্যাকিউম ক্লিনার পাওয়া যায় কিন্তু এর কোয়ালিটি তেমন ভালো হয়না। তাই আমি ব্র্যান্ড প্রেফার করি। আপনিও আপনার বাজেট অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন বাজারের সেরা কয়েকটি ব্রান্ডের মধ্যে একটি।

 

ফিচার

যেকোনো পণ্য কেনার আগে ফিচার সম্পর্কে আমি খুব আগ্রহ নিয়েই জানি। কোন পণ্যটি এ কি কি ফিচার আছে। ভ্যাকিউম ক্লিনারের ক্ষেত্রে আমি দেখেছি পারফরমেন্স, বিদ্যুৎ ওয়াট, ব্রাশ, ফিল্টার, একসেসোরিজ, কালার, শব্দের লেভেল ইত্যাদি।

 

ক্যাপাসিটি

ভ্যাকিউম ক্লিনারের ডাস্ট ক্যাপাসিটি কতটুকু তা জানা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনি একবারে কতটুকু ময়লা পরিষ্কার করতে পারবেন সেটা ডাস্ট ক্যাপাসিটির উপর নির্ভর করবে। ডাস্ট ক্যাপাসিটি সাধারণত ১-৬ লিটার হয় কিন্তু আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী এখন বাজারে ডাস্ট ক্যাপাসিটি পাবেন সর্বোচ্চ ২১ লিটার পর্যন্ত।

 

কোথায় এবং কেমন দামে পাবেন আপনার ভ্যাকিউম ক্লিনারটি

একটা কথা সবসময় মনে রাখা উচিত যে আসবাপত্র বা সরঞ্জাম গুলো আমরা বছরে বা কয়েক বছরে একবার কিনি সেগুলো একটু ভেবে চিন্তে এবং ভালো জায়গা থেকে কেনাই বুদ্ধিমানের কাজ। যেমন ইলেক্ট্রনিক্স এর ক্ষেত্রে সবসময় authorized রেপ্রিজেন্টেটিভ দের কাছ থেকেই কেনা উত্তম। উদাহরণস্বরূপ, ট্রান্সকম ডিজিটালকে ধরে নেয়া যায়। ভালো মানের ভ্যাকিউম ক্লিনারের রেঞ্জ ব্র্যান্ড এবং ফিচার অনুযায়ী সর্বনিন্ম ৭,০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।