অনেক তো পড়াশুনা হলো তাই আজ আর পড়াশুনা নিয়ে কোন কথা নয়। জীবন একটাই তাই আগে জীবনকে উপভোগ করুন। একজন স্টুডেন্টের পড়াশুনা শুরু হয় বলতে গেলে ৫ বছর বয়স থেকে। এর পর পি এস সি, জে এস সি , এই এস সি তারপরে এইচ এস সি। এক কথায় বলা যায় প্রায় ১২-১২ বছর কেটে যায় এইচ এস সি পাস করতে। আর এই সময় গুলোর ভিতরে কাধে ভারী ব্যাগ নিয়ে ছুটতে হয় কোচিং আর স্কুল কলেজে। মা বাবাকে যদি বলেন একটু ঘুরতে যাবেন তাহলে প্রথমেই বলবে তুমি তো ছোট তাই একটু বড় হয়ে বেড়াতে যাও। মা বাবার কাছে যেন সন্তানরা কখনোই বড় হয় না। তাই এইতো সুযোগ, চলুন কাজে লাগাই। অনেক কথা বলে ফেললাম। চলুন আজ আপনাদের কিছু আইডিয়া দেই যে গুলো আপনারা এইচ এস সি পরীক্ষা দেয়ার পর পরই করতে পারবেন পরাশুনার পাশাপাশি।

ঘোরাফেরা: এই সময়টাই আপনার ঘোরাফেরার আদর্শ সময়। কারন কিছু দিন পরেই আপনি আবার পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরবেন। তখন ইচ্ছা থাকলেও কোথাও বেড়ানোর সুযোগ নাও পেতে পারেন। ঘুর আসতে পারেন, সেন্ট মার্টন, কক্স বাজার, রাঙ্গামাটি, খাগরাছড়ি, সিলেট, বান্দরবন সহ দেশের নানা বিখ্যাত জায়গা। যাদের দুরে যাওয়ার সুযোগ কম, বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে তারা আপনার জেলার নানা দর্শনীয় জায়গাগুলো দেখে আসতে পারেন। আপনি হয়ত জানেন না আপনার চারিদিকেই কত সুন্দর সুন্দর জায়গা রয়েছে। বন্ধুদের ও বড়দের জিজ্ঞাস করুন তারা আপনাকে তথ্য পেতে হেল্প করবে।
পড়াশুনা: আরে না এই পড়াশুনা সেই পড়াশুনা নয়। এগুলো হতে স্পকেন ইংলিশ, আই ই এল টি এস সহ নানা কোর্স। ভর্তি হয়ে যেতে পারেন আপনার আশে পাশের না প্রতিষ্ঠানে। এছাড়াও ইউ টিউবের বিভিন্ন লেকচার দেখেও আপনারা ঘরে বসেই শিখে নিতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং: একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আমি সবাই এই সাজেশনটা দিয়ে থাকি। কারন কিছু দক্ষতা আপনার সারা জীবনের সম্পদ হয়ে পাশে থাকতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম হলে ফ্রিল্যান্সিং শেখা। পড়াশুনা বা চাকরীর পাশা পাশি বাড়তি কিছু আয় করতে পারেন ফ্রিল্যান্সিং শেখার মাধ্যমে। যাই এই বিষয়টা মোটামুটি ভাবি আমরা সবাই জানি। তবে আমার পরামর্শ হলো ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য কখনোই কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি না হওয়াটাই বেটার। কারন এই লাইনে চোর বাটপারের অভাব নেই। আমি এমনও প্রতিষ্ঠান দেখেছি যারা এই জীবনে ফ্রিল্যান্সিং কোন কোন উপার্জনই করে নাই অথবা সামান্য কিছু করেছে , আজ তারা বড় বড় প্রতিষ্ঠানের মালিক। তারা মানুষকে স্বপ্ন দেখায় মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করার। তাই আপনাদের জন্য আমার পরামর্শ, গুগলে সার্চ করুন বা ইউ টিউবে সার্চ করুন দেখবেন হাজার হাজার টিউটোরিয়াল রয়েছে। আপনারা চাইলে আমার চ্যানেল ও ঘুরে দেখতে পারেন। ইউ টিউবে গিয়ে আমার নাম Jobayer Rahman লিখে সার্চ দিলে অনেক গুলো ফ্রি টিউটোরিয়াল পাবেন। কষ্ট করে ভিডিও গুলো শিখে নিন।

শিখতে পারেন রান্নাবান্না: এটা যে কেবল মেয়েদের জন্য দরকার তা কিন্তু নয়, জীবনের তাগিদে কে কখন কোথায় গিয়ে পড়েন বলা যায় না। এমনও হতে পারে, এইচ এস সি পরীক্ষা দেয়ার পর, অনার্স করতে আপনাকে মেসে থাকতে হতে পারে। তখন রান্না জানাটা বেশ জরুরী হয়ে পরে। কষ্ট করে শিখে নিন না, কাজে লাগবে।

গান বাজনা কিংবা নাচ: যাদের গান, বাদ্য যন্ত্র ও নাচের প্রতি আগ্রহ আছে তারা এই সময়টায় শিখে নিতে পারেন এসব। ভবিষ্যত বেশ কাজে আসবে। বলা তো যায় না আপনার ভিতরে কি প্রতিভা লুকিয়ে আছে।

শিখতে পারেন সৌখিন কাজ: হাতের কিছু কাজ শিখে নিতে পারেন, যেমন, সেলাই করা, দর্জির কাজ, ব্লক বাটিক বা মোমের কাজ। এসব প্রতিভা ভবিষ্যতে বেশ কাজে আসবে।

মন যা চায় তাই করুন: নেশা, মারামারি ও খারাপ যেকোন কাজ বাদ দিয়ে করতে পারেন যেন কোন কাজ। আপনার মন যা চায় তাই করুন। কারন জীবন তো একটাই, এখন না করলে কখন করবেন।

যাই হোক, অনেক পরামর্শ দিয়ে দিলাম, চাইলে আমাকে এক বেলা দাওয়াত করে খাওয়াতে পারেন, আমি না করব না। আর কিছুদিন পরেই HSC Result 2018 পাবলিষ্ট হবে। কে কাদবে আবার কে হাসবে বলাতো যায় না। তবে আমরা সবাই চাই, সবাই হাসুক। কান্না আমাদের কারোই কাম্য নয়। হয়তো সবার ভালো রেজাল্ট হবে না। সেটা কখনোই সম্ভব না। সমাজে কিছু খারাপ ছাত্র আছে বলেই ভালো ছাত্র কি সেটা বুঝতে পারি। আজকের মতে তাহলে এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।