ইমেইল মার্কেটিং A to Z!
ইমেইল মার্কেটিংয়ে ক্যারিয়ার এবং এর আদ্যোপান্ত একটা সময় ছিলো, যখন ক্রেতা তার প্রয়োজনীয় পণ্যের বিক্রেতাকে খুঁজে বের করতো। কিন্তু বর্তমানে বিজনেস পলিসি ভিন্ন। বিক্রেতাই বরং ক্রেতার দ্বারে দ্বারে পৌঁছে যাচ্ছে। ব্যবসায়ী জগতে এ পরবর্তিত পদ্ধতিগুলোর গুরুত্বপূর্ণ একটি হলো ইমেইল মার্কেটিং। তাই ব্যবসায়ী এবং ফিল্যান্সিং জগতে ইমেইল মার্কেটিং এর চাহিদা বাড়ছে।
ইমেইল মার্কেটিং এমন একটি মার্কেটিং পদ্ধতি যার মাধ্যমে আপনি আপনার পন্য এবং সেবা সম্পর্কিত তথ্য সরাসরি সম্ভাব্য ক্রেতার নিকট প্রচার করতে পারবেন। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছোট বড় প্রায় সব প্রতিষ্ঠান ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে তাদের প্রতিষ্ঠানের প্রসার করছে।
ইমেইল মার্কেটিং এর সুবিধাসমূহঃ
১. ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে অল্প পরিশ্রমে এবং স্বল্প সময়ে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।
২. ইমেইল মার্কেটিং এ কাজ করতে ওয়েব ডিজাইন এর খুব বেশি প্রয়োজন হয়না।
৩. ইমেইল মার্কেটিং এর জন্য আপনাকে বেশি দামের হোস্টিং ফি খরচ করতে হবে না।
৪. ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে নিজের পন্য বা সেবার প্রচার, সেবা বিক্রয়, অন্য প্রতিষ্ঠানের পণ্য বিক্রয় এবং পন্যের বিক্রয়লব্ধ কমিশন ইত্যাদি সহ বিভিন্ন উপায়ে আপনি আয় করতে পারবেন ।
৫. ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে অন্য প্রতিষ্ঠানকে রেফার বা তাদের জন্য রিভিউ লিখে পূর্বেই সেই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অর্থ আয় করা সম্ভব ।
ইমেইল মার্কেটিং সাধারণত তিনটি ধাপে হয়ে থাকে:
ইমেইল মার্কেটিং এর জন্য আপনার প্রয়োজন একটি ওয়েবসাইট, মার্কেটিং কিছু তথ্য এবং পন্য বা সেবা। আপনি চাইলে নিজের পন্য বা সেবা তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন অথবা অন্য প্রতিষ্ঠানের পন্য বা সেবা বিক্রয় করেও কমিশন পেতে পারেন বা বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানের রিভিউ দিয়ে বা অন্য কোথাও ভিজিটরকে আমন্ত্রনের মাধ্যমে করে আয় করতে পারেন। এখানে একটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ আর তা হল আপনার গ্রাহক সংখ্যা। আপনার যদি খুব কম গ্রাহক থাকে তবে তা থেকে আপনি আয় করতে পারবেন না। এজন্য প্রথমেই আপনাকে গ্রাহক সংখ্যা বাড়াতে হবে । মনে রাখবেন, আপনার গ্রাহক সংখ্যা যত বেশি থাকবে আপনি ততো বেশী আয় করতে পারবেন।
ইমেইল কালেক্ট করা :
ইমেইল মার্কেটিং এর অন্যতম একটি কাজ হলো প্রচুর পরিমাণ ইমেইল কালেক্ট করা। কারণ এই ইমেইল এড্রেসগুলোতেই আপনি পণ্য সম্পর্কে আপনার বক্তব্য পাঠাবেন এবং তাকে ক্রয় করার জন্য উৎসাহিত করবেন। যত বেশি ইমেইল সংগ্রহ করা যাবে বিক্রির সম্ভাবনা তত বেশি হবে। ইমেইল এড্রেস কালেক্ট কয়েকটা পদ্ধতি আলোচনা করা হল : * যারা নিয়মিত আপনার ব্লগ পড়ে তাদের থেকে সাবস্ক্রাইবের মাধ্যমে ইমেইল এড্রেস কালেক্ট করুন। এবং অনুমতি নিয়ে নিন ভবিষ্যতে হয়তো আপনি ইমেইলে পাঠাতে পারেন। * একটা ব্লগ কনটেষ্ট আয়োজন করুন। এবং মেইলগুলো সংগ্রহে রাখুন। * আপনার ব্লগের পাশে একটা বিজ্ঞাপন দিন “যদি কেউ আপডেট নিউজ এবং বিভিন্ন কোম্পানীর অফার পেতে চায় তবে যেন মেইল এড্রেস ড্রপ করে”। * টুইটারে টুইট দিন এবং লোকদের ইনভাইট করুন। কোম্পানীর লেটেষ্ট নিউজ এবং অফার জানতে চায় তবে যেন তাদের মেইল এড্রেস ড্রপ করে। অবশ্যই আপনার সাইনআপ ফরমের লিংক দিয়ে দিবেন। * আপনি ব্লগের জন্য ওয়ার্ডপ্রেস ইউস করেন; তাহলে আপনি ইমেইল কালেক্টটিং প্লাগইনস ইউস করুন। তাছাড়াও বিভিন্নভাবে অনলাইন থেকে মেইল এড্রেস কালেক্ট করা যায়।
ইমেইল মার্কেটিং এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং শেষ ধাপ হলো ইমেইল ডেলিভারী করা। ইমেইলগুলো ডেলিভারী বা পাঠানোর জন্য SMTP (simple mail transfer protocol) সার্ভার প্রয়োজন। সাধারন ভাবে আমরা মেইল পাঠানো জন্য যে সাইটগুলো ব্যবহার করি যেমন Verizon, Comcast, AOL, Gmail, Yahoo, GoDaddy, Earthlink ইত্যাদি। এই সাইটগুলো আপনাকে বেশি পরিমাণ মেইল একদিনে পাঠাতে দিবে না। অথচ আপনাকে হয়তো প্রতিদিন হাজার হাজার মেইল বা লক্ষ মেইলও পাঠাতে হবে। তাই নিজে SMTP সার্ভার কিনে সেটআপ করে যত ইচ্ছা পাঠাতে পারবেন।
কোথায় ইমেইল মার্কেটিং শিখবেন?
ইমেইল মার্কেটিং শেখার পূর্বে ভালো মান সম্মত একটি ইমেইল মার্কেটিং ট্রেনিং সেন্টার এর সাথে যোগাযোগ করুন। যারা আপনাকে সঠিক গাইড লাইন দিয়ে দক্ষ ইমেইল মার্কেটিং শিখাবে। আপনার স্বপ্নকে দক্ষতায় রুপান্তরিত করতেই আমরা আছি আপনাদের পাশে।