বিচিত্র এ দেশ।
বিচিত্র আমাদের চারপাশের মানুষ।
আরও বিচিত্র তাদের পেশা।

পেশার মাঝে যেন প্রতারণাই সবচে’ প্রিয় আমাদের অনেক বড় একটি অংশের।

এখানে কেউ একজন অন্যকে প্রতারিত করে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলার আগে নিজেই জড়িয়ে যায় অন্যের পেতে রাখা প্রতারণার কারেন্ট জালে। পদ্মা-মেঘনা-যমুনা’র নরম পললে জেগে ওঠা বাংলাদেশের নরম মাটির মতো এদেশের সাধারণ মানুষের মনও নরম, যেমন খুশি তেমন ছাঁচে ঢেলে সাজানো যায়, বলেই হয়তো কেউ তেমন একটা মাথাও ঘামান না সেসব নিয়ে।

নয়তো নিচের খবরটি হয়তো আরও বেশ কিছু সংখক ‘পঠিত’ ও ‘জানানো’ হতো। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকম প্রকাশিত খবরটি বলছে ‘দেশেই এখন তৈরি হচ্ছে ক্যাসপারস্কি এন্টিভাইরাস, তবে তা নকল!’।

news

টেক সমাধানের শুরু থেকেই আমরা বলে আসছি – ডিজিটাল বাংলাদেশ করলেই শুধু হবে না। ডিজিটাল জীবনের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে। আর সেজন্য চাই আমাদের জন্য, আমাদের উপযোগী এন্টিভাইরাস। তবে, আমরা চেয়েছিলাম নিজেদের মাথা খাটিয়ে কোনো একটি বাংলাদেশি কোম্পানি তা উদ্ভাবন করুক ও বাজারে আনুক, কিংবা সম্পূর্ণ সেটআপ নিয়ে দেশের মাটিতে আসুক নামীদামী কোম্পানিগুলো – নকল করে নয়।

খবরে প্রকাশ – পুলিশের হাতে আটককৃতরা সফট ফাইল রাইট করে নকল বক্সে ভুলভাল অ্যাক্টিভিশন কোডসহ তা বিক্রিও করছিল বেশ কিছুদিন ধরে। বলার অপেক্ষা রাখে না দেশে আদৌ ক্যাসপারস্কি’র গ্রাহকসেবা কেন্দ্র আছে কি না বা থাকলেও তা কোথায় এসব জানা না থাকায় অনেকেই প্রতারিত হলেও বলতে পারেননি কোথাও।

উপরে বলা ‘আমাদের উপযোগী’ মানে গ্রামে গ্রামে না হোক, সারা দেশ মিলিয়ে হলেও অন্তত কয়েকটি গ্রাহকসেবা কেন্দ্র থাকুক, যেখানে গিয়ে আমরা সরাসরি কোম্পানির লোকের কাছ থেকে পণ্যটি কিনতে পারবো। কিংবা কোথাও কোনো সমস্যা হলে যে নম্বরে কল করে জানাবো তা দেখেই যেন আৎকে না উঠি ভেবে যে, ‘খাইছে! বিদেশী নম্বর? কল দিলেই তো কাটবে মিনিটে ২৫/৩০ টাকা!!’

তাই, এন্টিভাইরাস নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আমাদের আলোচনা ও পর্যবেক্ষণের জেরে আমাদের এবারের অনুরোধ ভিনদেশী কোম্পানি ও সরকারের কাছে। দয়া করে মোবাইল কোম্পানিগুলোর মতো আপনাদের পণ্য ও সেবা পাওয়ার পদ্ধতি সহজ করুন, মানুষ কীভাবে বুঝবে কোনটা আসল-কোনটা নকল তা প্রচারের ব্যবস্থা করুন।

প্রথম প্রকাশ হয় World TechInfo