বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর চলছে জয়জয়কার। একসময় ধারণা করা হতো তেল ব্যবসার মতো লাভজনক ব্যবসা দুনিয়াতে আর কিছু হতে পারে না।

কিন্তু এই ধারণাকে মিথ্যা প্রমাণ করেছে অ্যাপল, অ্যালফ্যাবেট (গুগল), মাইক্রোসফট এবং ফেসবুকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো। মিলিতভাবে আয়ের দিক থেকে এই টেক জায়ান্টরা তেলের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে হারিয়ে দিয়েছে।

ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কিত ওয়েবসাইট পেনি স্টক ল্যাব তৈরি করেছে একটি ডাটা ভিজুয়ালাইজেশন, যেখানে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি সেকেন্ডের আয় আপডেট হতে থাকে।

পাশাপাশি তাদের সামগ্রিক আয়ের ব্যাপারেও একটি ধারণা দেওয়া হয়। অর্থাৎ আপনি চাইলে এখনই দেখতে পারবেন এখনই অ্যাপল কিংবা মাইক্রোসফট ঠিক কত টাকা লাভ গুণে নিল!

(ওয়েবসাইট লিংক- http://pennystocks.la/battle-of-internet-giants/ )

পেনি স্টক ল্যাবের হিসেবে দেখা যায়, মিলিতভাবে এই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতি সেকেন্ডে দুই হাজার মার্কিন ডলারেরও বেশি আয় করে, যেটি প্রতি মিনিটে এক লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায়।

তবে সব প্রতিষ্ঠানের ব্যবসাই যে রমরমা, সেটি নয়। আয়ের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে আছে মার্কিন প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। উল্লিখিত আয়ের প্রায় অর্ধেক অংশই যায় তাদের ঘরে।

আছে উল্টোচিত্রও। সারা বিশ্বে পরিচিত বেশ কিছু প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা কিনা লাভের মুখই দেখতে পারছে না। টুইটার, পান্ডোরা কিংবা ইয়েল্পের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে সেই তালিকায়।

যুক্তরাষ্ট্রের তথা বিশ্বের প্রযুক্তি রাজধানী হিসেবে খ্যাত সিলিকন ভ্যালির প্রতিষ্ঠানগুলোর এই অফুরন্ত আয় এবং সম্পত্তি নিয়ে অবশ্য আপত্তি আছে অনেকের।

পৃথিবীর অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করেন, প্রযুক্তি বিশ্বের এই উত্থান বৈশ্বিক অর্থনীতিকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে। এ ছাড়া মার্কিন অর্থনীতিবিদরা বিশ্বাস করেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারকে যথেষ্ট পরিমাণ কর পরিশোধ করছে না।