অনেক ফ্রীলাঞ্চের এ সফল হউয়ার চেস্টা করছেন। অনেকে বিভিন্ন ট্রেনিং সেন্টার এ গিয়ে বিভিন্ন বিষয় এর উপর দক্ষ হউয়ার চেষ্টা করছেন কিন্তু সফল হতে পারছেন না। কাজের জন্য অ্যাপ্লাই করেন কাজ পান না, এমন কি বায়ার এর কাছ থেকে কোন রেপন্স ও আসে না। এর পিছনে কিছু কারন আছে, কিছু কিছু কারন অনেক ছোট আর ছোট দেখে ই আমরা হয়ত ঠিক মতো গুরুত্ত দেই না আর সমস্যাটা সেখানেই তৈরি হয়।
সবার আগে নিজেকে ঠিক করতে হবে
আমরা প্রায় ই শুনি বায়ার এর ব্যবহার ভাল না। বায়ার এর ব্যবহার যেমন ভাল ঠিক তেমন ফ্রীলাঞ্চের এর ব্যবহার ও অনেক সময় ভাল হয় না।দেখা যায় আপওয়ার্ক এ একটা জব এর জন্য অনেকে অ্যাপ্লাই করে আর সেখান থেকে একজন কে বাছাই করার বায়ার কিছু ফ্রীলাঞ্চের এর ইন্টারভিউ নেয়, কিছু কাজ করতে দেয়, তখন অনেকে মনে করে বায়ার তাকে দিয়ে ফ্রী কাজ করিয়ে নিচ্ছে।তখন বায়ারকে ভুয়া মনে করে।কিন্তু মনে করার কোন কারন নাই,নিজের কথা চিন্তা করে দেখুন, আপনি যদি আপনার জন্য কোন কাজ করান আর সেই কাজ যদি ১৫০-২০০ অথবা তার ও বেশি মানুষ করতে চায় তাহলে আপনি একটু যাচাই করে কাজ দিবেন বলেই আমার মনে হয়। তাই বায়ার এর সাথে খুব ভাল ব্যবহার করতে হবে আর তাতে যা হবে তা হল বায়ার বুঝতে পারবে আপনার আত্মবিশ্বাস কততুকু এই জব এর ব্যাপার এ।
আগে দক্ষ হতে হবে
আপনি যদি মনে করেন আপনি কোর্স শেষ করেছেন, কিছু কাজ জানেন এখন ই কাজ পেয়ে জাবেন তাহলে আপনি ভুল করছেন। আপনি যে কাজ করতে চান সে কাজ আপনাকে আগে ভাল মতো জানতে হবে। সে জন্য কিছু সময় ঠিক করে নিতে হবে এবং চিন্তা করতে হবে সেই সময় এর মধ্যে আপনি কোন টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। অই সময় শুধু আপনার দক্ষতা অর্জন করার সময়। যদি গ্রাফিক ডিজাইন করেন তাহলে নিজে নিজে কিছু ডেমো কাজ বানিয়ে ফেলুন, যেমন লোগো, বিজনেস কার্ড ইত্যাদি, ডিজাইন কিভাবে করতে হবে সেটার আইডিয়া পেতে পারেন গুগল এ সার্চ দিয়ে। আপনি যদি SEO করতে চান ভাল হয় নজের একটা সাইট বানিয়ে সেটার SEO করা কারন নতুন অবস্থায় কেউ ই আপনাকে কাজ দিতে চাইবে না অনেক সময় আপনার অনেক পরিচিত জন ও। ওয়েব সাইট ডিজাইন করলে একটা ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলুন, ডোমেইন আর হোস্টিং কিনতে একদম এ কম টাকা লাগে।আসলে ব্যাপার হল বায়ার আপনার কাজ দেখতে চাইবে। আপনি জতি ই লিখেন আপনি এতো বছর ধরে কাজ করছেন, ইত্যাদি ইত্যাদি আপনি যদি আপনার কাজ দেখাতে না পারেন তাহলে আপনি কাজ পাবেন এরকম আশা করা ঠিক হবে না। তাই যে কাজগুলি আপনি করছেন সেগুলি পোর্টফলিও হিসিবে ব্যবহার করেন দেখবেন আপনি বায়ার এর রেস্পন্স পাওয়া শুরু করেছেন। যদি পরিচিত কেউ থাকে যারা কাজ করছে তাদের সাথে কাজ করতে পারেন, তারা যদি আপনাকে টাকা দিতে না চায় ফ্রী ই করেন কিন্তু অনেক কাজে লাগবে, আপনি বুহজতে পারবেন কিভাবে কাজ করতে হয়। আর সে হয়ত আপনাকে হাতে ধরে ধরে শিখাবে না, আপনাকে শিখে নিতে হবে।
আপ টু ডেট থাকতে হবে
আপনাকে অবশ্যই সব কিছুর সাথে আপ টু ডেট থাকতে হবে। আপনি, ধরুন আপনি যখন ওয়েব ডিজাইন শিখেছেন তখন শুধু HTML, CSS আর কিছু সফটওয়্যার শিখেছেন, কিন্তু এখন মার্কেট এ wordpess এর ডিমান্ড অনেক বেশি তাই চেষ্টা করুন সেটা শিখে ফেলতে। গ্রাফিক ডিজাইন এর ক্ষেত্রে ও তাই গ্রাফিক ডিজাইন এর সফটওয়্যারগুলি কিছু দিন পর পর আপডেট হয় তাই চেষ্টা করতে আপডেট সফটওয়্যার ব্যবহার করে কাজ করার জন্য। শুধু সফটওয়্যার অথবা প্রোগ্রাম আপ টু ডেট থাকলে ই হবে না আপনার ডিজাইন করার স্টাইল ও যুগের সাথে মিলতে হবে।যে ফ্যাশান দুই বছর আগে অনেক জনপ্রিয় ছিল সেটা এখন না ও থাকতে পারে, তাই দেসিগ্নজখন করবেন তখন এগুলি বুঝে ডিজাইন করার চেষ্টা করেন
গুগল ব্যবহার করেন
আপনি যে কাজ ই করেন না কেন সমস্যায় পরতে ই পারেন, ডিজাইন করলে হয়ত বুঝতে পারছেন না কিভাবে ডিজাইন করলে ভাল হয়, কন ধরনের ডিজাইন এ কন কালার ব্যবহার করলে ভাল, ওয়েব সাইট ডিজাইন করতে গিয়ে ভুল হল কোন ভাবে ই বের করতে পারছেন না এরকম সমস্যার খুব সহজ সমাধান হল গুগল। এইটা আপনার পারসোনাল এসিস্টেন্ট হিসেবে কাজ করবে। আপওয়ার্ক এ প্রোফাইল করতে গিয়ে সমস্যায় পরেছেন গুগল এ সমাধান পেয়ে যাবেন আশা করি।
নতুন ভাবে কিছু করার চেষ্টা করেন
আপওয়ার্ক এর জবগুলি যদি দেখেন খেয়াল করবেন যে সেখানে “Unique” “New” এই শব্দগুলো বেশি থাকে।বায়াররা সব সময় চায় যে আপনি এমন একটা কাজ করে দিবেন যেটার সাথে অন্য ডিজাইন মিলবে না। আপনি যদি আপনার লোগো কাউকে বানাতে দেন তাহলে মনে হয় আপনি ও এমনটাই চাইবেন। তাই চেষ্টা করুন নতুন নতুন আইডিয়া বের করতে। বায়ার জব পোস্ট করার সাথে সাথে এক ই ধরন এর কাভার লেটার না লিখে একটু সময় নিয়ে জবটা সম্পর্কে বুঝে, নতুন কিছু যদি বের করা যায় তাহলে আরও ভাল তারপর অ্যাপ্লাই করুন। দেখেন সফল হতে আর বেশি সময় লাগবে না।
আপনারা এই ব্লগ এর পাশাপাশি গ্রাফিক ডিজাইন এবং আউটসোর্সিং বিষয়ক এই ওয়েবসাইট থেকে ঘুরে আসতে পারেন