যখন সারা বিশ্বের স্মার্টফোন নির্মাতারা 18:9 এবং ফুল ভিউ ডিসপ্লেকে তাদের স্মার্টফোনের ফোকাস পয়েন্ট করে, প্রতিনিয়ত স্মার্টফোন লঞ্চ করে যাচ্ছে ; ঠিক সেই সময় আমাদের দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটনও কিন্তু বসে নেই। ওয়ালটন ইতিমধ্যে তাদের বেশ কিছু ফুল ভিউ ১৮:৯ রেসিও ডিসপ্লে বাজারে ছেড়েছে। আর এসব স্মার্টফোনের দামও ছিল হাতের অনেক নাগালে। ওয়ালটন এর নতুন Primo EF7 হয়ত বাজারে সবচাইতে কম দামে একমাত্র ডিভাইস যাতে আপনি ১৮:৯ রেসিও এর ডিসপ্লে খুঁজে পাবেন। স্মার্টফোনটির বাজার মূল্য মাত্র ৪৪৯৯ টাকা বা আমরা বলতে পারি সাড়ে চার হাজার টাকা। আজকে আমরা জানব এই স্মার্টফোনটির রিভিউ।
একনজরে প্রিমো ইএফ ৭ ডিভাইসটিঃ
- অ্যান্ড্রয়েড ৭.০ নগাট অপারেটিং সিস্টেম
- ১.২ গিগাহার্জ কোয়াড কোর প্রোসেসর
- ১ জিবি ডিডিআর৩ র্যাম এবং ৮ জিবি রম
- ৪.৯৫ ইঞ্চি ফুল ভিউ ডিসপ্লে; ২.৫ডি কার্ভড গ্লাস
এটি বাংলাদেশে তৈরি প্রথম ফুল ভিউ তথা ১৮:৯ রেসিও ডিসপ্লে। আর এই দামে এর চেয়ে সুন্দর এবং এরকম ডিজাইনের স্মার্টফোন আর দ্বিতীয়টি খুঁজে পাওয়া দুস্কর।
স্মার্টফোনটির বক্সের ভেতর যা যা থাকছেঃ
ইউজার ইন্টারফেসঃ
ডিসপ্লে এবং বডিঃ
স্মার্টফোনটিতে একটি ফুল ভিউ ১৮:৯ রেসিও ডিসপ্লে থাকছে । এই ডিসপ্লেটির সাইজ ৪.৯৫ ইঞ্চি ; এই ডিভাইসটি ডিসপ্লে প্রায় ৫ ইঞ্চি হওয়ার ফলে ডিভাইসটি আকারেও অনেক ছোট হবে এবং হাতে খুব সহজেই ধরে গ্রিপ করা যাবে। ডিসপ্লেটি FWVGA প্রযুক্তির এবং এর রেজুলেশন ৪৮০*৯৬০ পিক্সেল। আর ডিসপ্লেটি সাইড দিয়ে ২.৫ডি কার্ভড।
ডিভাইসটির উচ্চতা ১৩৩ মিলিমিটার এবং প্রস্থ ৬২.২৩ মিলিমিটার। ডিভাইসটির পুরুত্ব ৯.৭ মিলিমিটার। ব্যাটারিসহ এই ডিভাইসের ওজন মাত্র ১৩৫ গ্রাম। ডিভাইসটি বাজারে ৪ টি কালার; ধুসর, কালো,মেটালিক সোনালী এবং সোনালী’তে পাওয়া যাবে। এর কালো রঙটি সবচেয়ে আকর্ষণীয়। ডিভাইসটিকে ব্যাক আপ দিবে একটি ২১০০ এমএএইচ ব্যাটারি।
হার্ডওয়্যার
হার্ডওয়্যারের দিক দিয়ে ডিভাইসটি সাধারন। এতে MT6580 মিডিয়াটেক কোয়াডকোর সিপিইউ ব্যবহার করা হয়েছে। এটি একটি ৩২ বিট সিপিইউ।সিপিইউটির কোর সংখ্যা ৪ টি এবং ক্ষমতা ১৩০০ হার্জ। ডিভাইসটিতে দেয়া হয়েছে DDR3 ১ জিবি র্যাম ; আর এখানে মোট ৯১৪ এমবি এর ভেতর হালকা কিছু অ্যাপলিকেশন ইনস্টল করলে প্রায় ৩২৬ এমবি বা এর কম-বেশি র্যাম ফাকা থাকে।
গ্রাফিক্স প্রোসেসিং ইউনিট হিসেবে রয়েছে এআরএম এর মালি ৪০০ এমপি। ওয়ালটন এর ট্রিপিক্যাল সব বাজেট, মিডিয়াম বাজেট স্মার্টফোনে এই জিপিইউ এর দেখা পাওয়া যায়। ডিভাইসটির সার্বিক গ্রাফিক্স এবং দুই ক্যামেরা মডিউল নিয়ন্ত্রন করার জন্য এই জিপিইউ মোটামোটি। ক্যামেরা পরিচালনা করতে ল্যাগ দেখা যেতে পারে।
ডিভাইসটির রম ৮ জিবি এর ভেতর ৪.৭৩ জিবি ব্যবহার করা যাবে। সেন্সর হিসেবে এতে পাওয়া যাবে – অ্যক্সেলেরোমিটার,লাইট, প্রোক্সিমিটি,ম্যাগনেটোমিটার,জাইরোস্কোপ এবং ব্যারোমিটার। আর এনটুটু বেঞ্চমার্ক অ্যাপলিকেশনে এর স্কোর এসেছে ২০৩৭২।
ক্যামেরা
ডিভাইসটির রিয়ার প্যানেলে রয়েছে একটি ৫ মেগাপিক্সেল BSI সেন্সর যুক্ত অটোফোকাস ক্যামেরা। আর এই ক্যামেরাটিতে Face Detection, Digital Zoom, Self-timer, Touch Shot এর মতন ফিচারস রয়েছে। ক্যামেরা সেটিংস হিসেবে রয়েছে:Exposure, White Balance, ISO, Saturation, Contrast, Brightness, Color Effect। শুটিং মোড হিসেবে রয়েছে:Normal Mode, Filter Mode, Manual Mode, Face Beauty, HDR, Panorama, Scene Mode, GIF, Frame ।
সামনে ফ্রন্ট ক্যামেরা হিসেবে রয়েছে আরেকটি ২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। এতে ক্যামেরা সেটিংস হিসেবে রয়েছে: Normal Mode, Filter Mode, Face Beauty, HDR, Frame, V-gesture ।
দাম হিসেবে এই ডিভাইসে যা দেয়া হয়েছে টা সত্যি প্রশংসনীয় । বিশেষ করে এর ডিজাইন সত্যি প্রশংসার দাবীদার। তবে এ সময়ও এমন একটি ডিভাইস জাতে ৪জি সাপোর্ট নেই ;তা একটি প্রশ্ন বিদ্ধ ব্যাপারও বটে।