সম্প্রতি বায়মেট্রিক্স পদ্ধতিতে মোবাইল সিম/রিম রি-রেজিট্রেশন নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে কয়েকদিন ধরে একটি সংবাদ অনেক প্রচার হচ্ছে, “বিদেশী ফোন কোম্পানিগুলির কাছে এধরনের একান্ত ব্যাক্তিগত তথ্য ভাণ্ডার চলে গেলে আসলেই যে কেউ যে কোন বিপদ বা অপব্যাবহারের সম্মুখীন হতে পারে বা এই ধরনের কনফিডেন্সিয়াল ডেটা আদৌ বেসরকারি প্রতিস্টানগুলির সংগ্রহ করার প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা?”
আগে কখনো সিম রেজিস্ট্রেশন করেননি বলেই হয়তো এ বিভ্রান্তির মধ্যে আছেন অনেকে। সিম রেজিস্ট্রেশন ফর্মে আঙ্গুলের ছাপ দেয়া সবসময়ই বাধ্যতামূলক ছিল। ফরমের উপরে বাম কোনায় আঙ্গুলের ছাপ দেয়ার জন্য নির্দিষ্ট বক্সে ছাপ দিতে হয়। তবে জাতীয় পরিচয় পত্র দেখালে সেটা জরুরি নয়। ( উল্লেখ্য জাতীয় পরিচয় পত্র বিতরন বেশ কিছু সময় ধরে বন্ধ থাকায় সেটা অনেকেই দেখাতে পারেন না এবং এটা দেখানো তাই আর বাধ্যতামূলক ও নয়) সেক্ষেত্রে ছাপ দিতেই হয়।
বায়োমট্রিক পদ্ধতির রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্রীয় ভাবে পরিচালিত এবং ছাপ সরাসরি সরকারি সার্ভার এ জমা হয়। এখানে টেলিকম অপারেটর গুলি তাদের জেনারেল কেওয়াইসি এবং রি-রেজিট্রেশন ডেটাবেসের সাথে এনআইডি নাম্বারের সাথে ইনপুট হিসাবে আপনাদের আগের ফিঙ্গারপ্রিন্টকেই শুধু ভেরিফাই করছে । এটা কোনভাবেই তাদের ডেটাবেইজে স্টোর করছে না । বরং আগের কাগুজে ছাপই লোপাট হয়ে যাওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা ছিল। শুধু নিজের সিম সক্রিয় রাখতে নয়, দেশের নিরাপত্তায় নিজের সামান্য দায়িত্বটুকুও পালনের জন্য হলেও এ প্রক্রিয়ায় সবার আংশগ্রহন জরুরি।