গবেষকরা এক একটি স্মার্ট চশমা উদ্ভাবন করেছেন যা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের কোন অপরিচিত পরিবেশ চিনতে সাহায্য করবে। বিভিন্ন জিনিস নির্ণয় করে কিংবা কোন চিহ্নকে বক্তব্যে রূপান্তরিত করে দেবে এটি। স্বাভাবিকভাবে দৃষ্টিপ্রতিদের আলো ও গতি সম্পর্কে সামান্য হলেও ধারণা থাকে। কিন্তু তাদেরকে প্রযুক্তিগতভাবে সহায়তা করতে পারে এরকম যন্ত্রের অভাব ছিল এতদিন।জানা যায়, শুধুমাত্র ইংল্যান্ডেই দুই মিলিয়ন ব্যক্তি চোখের সমস্যায় আক্রান্ত, যার মাঝে ৩ লাখ ব্যক্তি পুরোপুরিভাবে অন্ধ। আর এগুলোর মূল কারণ হলো macular degeneration, গ্লুকোমা কিংবা ডায়বেটিক রেটিনোপ্যাথি। এর সমাধানে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক একটি বিশেষ ধরণের চশমা তৈরি করেছেন যা ক্যামেরা ও সফটওয়্যারের সাহায্যে বিভিন্ন বস্তুর অবস্থান নির্ণয় করে এবং সেগুলোকে চশমার লেন্সে প্রদর্শন করবে। সম্প্রতি এই গবেষকদল রয়াল সোসাইটি থেকে এই গবেষণাকাজটি চালিয়ে যাওয়ার জন্য পুরস্কার লাভ করে। গবেষক স্টিফেন হিকস এক বিবৃতিতে বলেন, “কম্পিউটার ভিত্তিক দৃষ্টিশক্তি ব্যবস্থার অগ্রগতির জন্য এটি একটি গুরত্বপূর্ণ পদক্ষেপ”। তিনি আরও বলেন রয়্যাল সোসাইটির Brian Mercer Innovation award এই গবেষণাকাজকে আরও এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে, যে গবেষণাটির মূল উদ্দেশ্য দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদেরকে দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে স্বাচ্ছন্দ্য আনতে কিছুটা সহযোগিতা করা।
চশমাটির দুই লেন্সে দুটি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে যেগুলো আলাদা আলাদাভাবে দুটি পৃথক বস্তুর ছবি তুলে। এরপর চশমাটির লেন্সে থাকা স্বচ্ছ LED পর্দায় সেই বস্তুগুলোর ছবি ও তথ্য ভেসে ওঠে। এর ফলে যিনি এই চশমাটি পরে থাকেন তিনি নিজের ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তি দিয়েই তার সামনে থাকা বস্তুটি বর্ধিত আকারে দেখতে সক্ষম হন। বস্তুটি কতদূরে অবস্থিত সেটি সম্পর্কেও এই স্মার্ট চশমা ধারণা দেবে। এছাড়া সামনে কোন চিহ্ন থাকলে চশমাটি তা ক্ষুদেবার্তা আকারে লেন্সে প্রদর্শন করে কিংবা উচ্চ স্বরে সেটি বর্ণনা করে, যাতে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি তা বুঝতে পারেন। গবেষকরা এই স্মার্ট চশমাকে আরো কার্যকর করে তোলার জন্য বিভিন্ন সফটওয়্যার তৈরির কাজ করে যাচ্ছেন।
এতো দিনে কাজের একটি জিনিস বানাল । ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য ।
আপনাকেও ধন্যবাদ 😀 🙂 🙄