apple

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বাঁকানো সম্ভব এরকম ডিসপ্লে প্রযুক্তির আইফোন আনছে অ্যাপল। সর্বপ্রথম এই প্রযুক্তি টেলিভিশনে ব্যবহারের পর বর্তমানে এটি স্মার্টফোনেও প্রয়োগ করা শুরু হয়েছে।প্রযুক্তি সংবাদবিষয়ক সাইট সিনেট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। ইতোমধ্যে স্যামসাং তাদের প্রথম বাঁকানো ডিসপ্লে সমৃদ্ধ ফোন গ্যালাক্সি রাউন্ড ঘোষণা করেছে। আর এলজি এনেছে এলজি জি ফ্লেক্স। আর এখন শোনা যাচ্ছে অ্যাপল আগামীতে ঘোষণা করবে বাঁকানো ডিসপ্লে সমৃদ্ধ আইফোন।

ডিসপ্লে প্রযুক্তিতে এক নতুন মাত্রা হিসেবে যোগ দিয়েছে এই বাঁকানো ডিসপ্লে প্রযুক্তি।

অভ্যন্তরীণ এক তথ্যদাতার মতে, অ্যাপল আগামী বছরের দ্বিতীয়ার্ধে বাঁকানো ডিসপ্লে সমৃদ্ধ দুটি নতুন আইফোন ঘোষণা করতে পারে। ফোনটির ডিসপ্লে মূলত তার দুই প্রান্তের দিকে বাঁকানো থাকবে।

এছাড়া ফোন দুটি তার ডিসপ্লের উপরের বিভিন্ন ধরনের চাপ নির্ধারণ করে সে অনুসারে কাজ করতে সক্ষম হবে।

ফোনগুলো দুই আকারের ডিসপ্লেতে পাওয়া যাবে যার একটি হবে ৪.৭ ইঞ্ছি এবং আরেকটি হবে ৫.৫ ইঞ্ছি। আর ফোনের বাঁকানো ডিসপ্লে, স্ক্রিনের আকার এবং চাপ সংবেদন গ্লাস প্রয়োগ ছাড়াও সম্ভাবনা আছে যে অ্যাপল তাদের ফোন থেকে হোম বাটন বাদ দিবে।

অবশ্য ফোনের আকার অতিরিক্ত বড় না করে এর স্ক্রিনের আকার বাড়াতে চাইলে এটিই হবে সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত কাজ।

প্রশ্ন হল অ্যাপলের এই নতুন আইফোনগুলো গ্রাহকরা কিভাবে গ্রহণ করবে। কারন বাঁকানো ডিসপ্লের এই প্রযুক্তি সম্প্রতি ব্যবহার করা শুরু হয়েছে। যদিও এই ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার অনেক আকর্ষণীয় মনে হয় তবে গ্রাহকরা আসলেই তা চায় কিনা এবং এটি আসলেই কোন সুবিধা বয়ে আনবে কিনা তা প্রশ্নবিদ্ধ।

এছাড়া বর্তমান প্রযুক্তিতে এর উৎপাদন খরচও প্রচুর। স্যামসাং তাদের গ্যালাক্সি রাউন্ড এর মূল্যই একারনে রেখেছে প্রায় ১০০০ ডলার। এখন অ্যাপলের মতন একটি প্রিমিয়াম ডিভাইস প্রস্তুতকারক কোম্পানি এধরনের ফোন উন্মোচন করলে তা কি পরিমাণ মূল্যের বিনিময়ে পাওয়া যাবে তাও একটি বিষয়।