5o_tizen-rightকোরীয়ায় সম্প্রতি হয়ে যাওয়া এসএএস ফোরামে স্যামসাং ইলেক্ট্রনিক্স সফটওয়্যার সেন্টার এর নির্বাহী ভাইস-প্রেসিডেন্ট জেডি চই স্যামসাং এর ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন যে, এই কোম্পানিটি আগামী ২০১৭ এর মধ্যে এর ৯০% ডিভাইসকে এবং ২০২০ নাগাদ সকল স্যামসাং পণ্যকে ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) এর সাথে সংযুক্ত করবে। ফলে তাদের একটি পন্য অন্য পন্যের সাথে সংযোগ ঘটাতে সক্ষম হবে। তাদের ‘ওএস-ই সবকিছু’ নামের উদ্যোগটি অব্যহত থাকবে কারণ প্রতিষ্ঠানটি আইওটি -কে আরো বেশি গুরুত্ব দিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।

ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) হচ্ছে এমন একটি আন্দোলন যার মাধ্যমে সাধারণ ইলেক্ট্রনিক্স পন্যকে স্মার্ট, ইন্টারনেট-সংযুক্ত পন্যে রুপান্তর করার ধারণাটিকে সকলের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। আইওটি’র প্রযুক্তিতে স্মার্টফোন, ট্যাবলেট বা এ ধরণের পন্যের সাহায্যে অন্যান্য অনেক ইলেক্ট্রনিক্সের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হবে। স্যামসাং আইওটি’কে নিয়ে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিশাল স্বপ্ন দেখছে। আর তাদের টাইজেন হচ্ছে এই স্বপ্ন পূরণের প্রথম পদক্ষেপ। সে কারণে এ পর্যন্ত টাইজেনে প্রতিষ্ঠানটির বিনিয়োগও বিশাল।

স্যামসাং অতি উৎসাহী হলেও এর টাইজেন ওএস যাত্রা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত অনেক বেশি সমালোচনার মুখে পড়েছে। এর সমালোচনায় মূখর হয়েছেন ক্রেতা, সমালোচক এমন কি প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলোও। জেনারেটর রিসার্চ এর প্রধান বিশ্লেষক অ্যান্ড্রু শেহি গত বছর জুনে এই ওএস’কে ‘কমপক্ষে ৫ বছরের পিছিয়ে পড়া’ উদ্যোগ বলে উল্লেখ করেছিলেন। অন্যদিকে হুয়েউয়ি’র প্রধান নির্বাহী রিচার্ড ইউ বলেছিলেন টাইজেনের ‘সফল হওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই’। কিন্তু টাইজেন নিয়ে স্যামসাং এর এই যাত্রা যে তাতে স্থগিত বা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে না সে কথাই স্পষ্ট করে উঠে এসেছে প্রতিষ্ঠানের অন্যতম কর্ণধার জেডি চইয়ের বক্তব্যে।

যদিও স্যামসাংএর এই উদ্যোগের সমালোচনা অনেক তবে তাদের এই কাজে নিবেদিতপ্রাণ মানুষের সংখ্যাও একে বারে কম নয়। গুগল ও অ্যাপেল এর মতো বৃহৎ প্ল্যাটফরমকে বিবেচনায় রেখে নিজস্ব প্ল্যাটফরম সৃষ্টির লক্ষ্যে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা সত্যিই সাহসের ব্যাপার। তাই আইওটি’র প্রধান উদ্যোক্তা ও প্রচারক স্যামসাং এর কাছে আশা থেকেই যায় যে, টাইজেন গ্রাহকদের একেবারে হতাশ করবে না ।