আসালামু আলাইকুম,
আমাদের নবী হযরত মুহাম্মাদ ( সা ) বলেছেন:
কোন লোক কাজ করে থাকলে তার গায়ের গাম শুকানোর আগেই তার মঝুরি দিয়ে দেওয়া উচিত।
আবু বকর (রাঃ) বলেন,
মুসলিমদের জন্য দুইজন আমীর গ্রহণ করা নিষিদ্ধ, কারণ এতে তাদের কার্যাবলী ও চিন্তাতে মতভিন্নতা দেখা দিবে, তাদের ঐক্য বিভক্ত হয়ে পড়বে, এবং তাদের মধ্যে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়বে। তখন সুন্নত পরিত্যক্ত হবে, বিদআত ছড়িয়ে পড়বে এবং ফিতনা বেড়ে চলবে…
[ সিরাতে ইবন ইসহাক]
উসমান (রাঃ) বলেন,
নিশ্চয়ই আল্লাহ্ শাসনক্ষমতা দিয়ে যা করেন, কুরআন দিয়েও তা করেননা।
[মাজমু ফতওয়া ইবন তাইমিয়্যা, খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা ১৩]
উমর (রাঃ) বলেন,
আল্লাহর শপথ! কুরআন দিয়ে আল্লাহ্ যতটুকু রক্ষা ও প্রতিহত করেন, রাষ্ট্রশক্তির মাধ্যমে আল্লাহ্ তার চেয়েও বেশি রক্ষা ও প্রতিহত করেন।
[কাঞ্জুল উম্মাল, হাদিস নং, ১৪২৮৪, তারিখে ইমাম আল খাত্তাবি]
আলী (রাঃ) বলেন,
একজন আমীর ছাড়া জনগণ কখনই পরিশুদ্ধ হবেনা—তিনি ভাল বা মন্দ (যাই হোক না কেন)।
[কাঞ্জুল উম্মাল, ১৪২৮৬; বায়হাকি, ৭৫০৮]
ইমাম কুরতুবী (রহ) বলেন,
এবং এটা (খিলাফত) হচ্ছে দ্বীনের স্তম্ভসমূহের মধ্যে একটি স্তম্ভ।
[তাফসীরে কুরতুবী, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৬৪]
ইমাম ইবন হাযম (রহ) বলেন,
আহলুস সুন্নাহর সবাই, মুরজিয়াদের সবাই, শিয়াদের সবাই, খারিজীদের সবাই ইমামতের বাধ্যবাধকতার বিষয়ে একমত হয়েছেন।
[আল ফাসল ফিল মিলাল ওয়াল আহওয়ায়ী ওয়ান নাহল]
ইমাম আবু হামিদ গাযযালি (রহ) খিলাফত হারানর সম্ভাব্য পরিণতি সম্বন্ধে বলেন,
বিচারকরা বরখাস্ত হয়ে যাবে, প্রদেশগুলো অবৈধ হয়ে যাবে, … কর্তৃত্বশীলদের নির্দেশগুলো বাস্তবায়ন হবেনা এবং সমগ্র সৃষ্টি হারামের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
[আল ইকতিসাদ ফিল ইতিকাদ, পৃষ্ঠা ২৪০]
ইমাম ইবন তাইমিয়্যা (রহ) বলেন,
জনগনের শাসক নিয়োগ দেয়া দ্বীনের গুরুত্বপূর্ণ ফর্যগুলোর অন্যতম। প্রকৃতপক্ষে এটি ছাড়া দ্বীন ও দুনিয়া প্রতিষ্ঠিত থাকেনা।
[সিয়াসাহ শারীয়াহ]
ইবন খালদুন (রহ) বলেন,
খিলাফত ও ইমামত হল বাস্তব রাষ্ট্র যা জনগণের জন্য জরুরী।
[আল মুকাদ্দিমাহ]
ইমাম আল মাওয়ার্দী (রহ) বলেন,
(ইমামতের নেতৃত্ব)- এর সাথে (আনুগত্যের) চুক্তি করা উম্মতের জন্য ইজমা দারা ফরয।
[আল আহকামুস সুলতানিয়া]
ইমাম নববী (রহ) বলেন,
এ ব্যপারে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, একজন খলীফা নির্বাচন করা মুসলমানদের উপর ফরয বিষয়।
[শরহে সাহীহ মুসলিম]
শাহ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলভী (রহ) বলেন,
খিলাফতের শর্তাবলী বিদ্যমান এমন শাসক নিয়োগ করা কিয়ামত পর্যন্ত মুসলিমদের উপর ফরয ই কিফায়া।
[ইযালাতুল খীফা আন খিলাফাতিল খুলাফা]
মাওলানা আবুল কালাম আযাদ (রহ) (উপমহাদেশের খিলাফত আন্দোলনের অন্যতম নেতা) বলেন,
খিলাফত ছাড়া ইসলামের অস্তিত্ব অসম্ভব। তাই ভারতের মুসলিমদের তাদের সমস্ত প্রচেষ্টা ও শক্তি নিয়ে এর জন্য কাজ করতে হবে।
[মাসালা ই খিলাফত]
মুফতি মুহাম্মদ শাফী (রহ) এর মতে,
পৃথিবীতে আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠা করাই মুখ্যত মুমিনদের যাবতীয় চেষ্টা-চরিত্রের লক্ষ্য।
[তাফসির মারেফুল কুরআন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ]