স্মার্টফোনে খুদেবার্তা বা এসএমএস পাঠানোর জন্য এখন আর আলাদা কোনো অ্যাপের দরকার হবে না। ফেসবুক চ্যাটিং থেকে শুরু করে এসএমএস পাঠানোর সব কাজেই এখন সেরে ফেলা যাবে ফেসবুক মেসেঞ্জারে। প্রযুক্তিবিষক ওয়েবসাইট ম্যাশেবল জানিয়েছে এই খবর।

গত মঙ্গলবার ফেসবুকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এখন থেকে অ্যানড্রয়েড ডিভাইসের জন্য নির্মিত মেসেঞ্জার অ্যাপ থেকে এসএমএস আদান-প্রদান করা যাবে।

আইওএস কিংবা অন্যান্য প্লাটফর্মের জন্য এই সুবিধা সম্পর্কে এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি ফেসবুক। গুগল প্লেস্টোর থেকে মেসেঞ্জারের সর্বশেষ আপডেট ডাউনলোড করা হলে অ্যানড্রয়েড ব্যবহারকারীরা এই ফিচার উপভোগ করতে পারবেন।

মেসেঞ্জারের সেটিংস অপশন থেকে ‘ডিফল্ট এসএমএস অ্যাপ’ হিসেবে মেসেঞ্জারকে বাছাই করে নিলে পরে ফোনে আসা সকল এসএমএস জমা হবে এই অ্যাপে। ফেসবুক মেসেজ আগের মতোই জমা হবে এই অ্যাপে।

তবে এসএমএসের সঙ্গে ফেসবুক মেসেজ এক করে ফেলার ঝামেলায় পড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। মেসেঞ্জারে ফেসবুকের মেসেজগুলো থাকবে নীল রঙের। অন্যদিকে এসএমএসের রং হবে বেগুনি। এ ছাড়া ফেসবুকের মেসেজগুলোর সঙ্গে থাকবে মেসেঞ্জার আইকন এবং অ্যাকাউন্টের প্রোফাইল ফটো।

মেসেঞ্জারে যুক্ত থাকা বিভিন্ন ইমো, স্টিকার, ছবি পাঠানো যাবে এসএমএসের সঙ্গে। তবে জিআইএফ কিংবা পেমেন্ট সুবিধা শুধু ফেসবুক মেসেজের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।

২০১২ সালে মেসেঞ্জার সর্বপ্রথম এই সুবিধা চালু করে। তবে কিছুদিন পরেই বন্ধ হয়ে যায় মেসেঞ্জার থেকে এসএমএস পাঠানোর সুযোগ। তবে মেসেঞ্জারের ক্রমাগত ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে নতুন করে আবার এসএমএস সুবিধা চালু করল ফেসবুক।

ফেসবুকের মোবাইল অ্যাপ থেকে মেসেজ দেখতে এখন ব্যবহারকারীকে অবশ্যই ডাউনলোড করতে হবে মেসেঞ্জার। অতীতে এ কাজে মেসেঞ্জার ব্যবহার বাধ্যতামূলক ছিল না। ফেসবুকের এই বাড়াবাড়িতে বেশ চটেছেন অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে মিলেছে তাদের ক্ষোভের প্রমাণ।

ফোনে আসা নানা ধরনের এসএমএস মেসেঞ্জারে জমা হলেও সেটি নিয়ে মনে নিরাপত্তার সংশয় জাগার কোনো অবকাশ নেই। অন্তত এমনটাই নিশ্চিত করছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। আর ব্যবহাকারীদের এসএমএস অ্যাপ হিসেবে মেসেঞ্জারকে ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো রকম বাধ্য করা হবে না।

এরকম আরও নতুন কিছু জানতে  ও  প্রযুক্তির সাথে নিয়মিত আপডেট থাকতে চোখ রাখুন