টাইটেল দেখে নিশ্চয়ই অবাক হয়েছেন। আপনাদের কৌতূহল বেড়েছে এটা দেখে যে ভাল ছাত্ররা কীভাবে পড়ে? তাদের ভাল করার রহস্য কি? কীভাবে তাদের মতো ভাল ছাত্র হওয়া যায়? ভাল ছাত্র হওয়া আদৌ কি সম্ভব কিনা?

যদি এমন হাজারটা প্রশ্ন থেকে থাকে আপনাদের মনে তবে বলছি- ভাল ছাত্র বলতে আসলে কিছু নাই।

যেটা আছে একজন ছাত্র হিসেবে মনযোগী, কৌশলী তাকে আমরা ভাল ছাত্র বলছি, অন্যদিকে অন্যরা পড়াশুনায় মনোযোগী না, কৌশলী না, পরীক্ষায় তেমন ভাল ফলাফল করতে পারছে না। ওদের আমরা দুর্বল ছাত্র বলি। তবে শুরু করার আগে আরেকটা বিষয় বলে রাখি, মনে রাখবেন ছাত্রজীবন মানে রেসের ঘোড়া না যে কার আগে কে লক্ষ্যস্থানে পৌঁছে যাবে তা নির্ণয় ছাত্রজীবনের আসল উদ্দেশ্য। ছাত্রজীবনের আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে এমন কিছু শিক্ষালাভ করা যার জন্য আপনি নিজেকে একজন পরিপূর্ণ মানুষ দাবি করতে পারবেন।

যারা ছাত্র হিসেবে ভাল করে, তাদের কাছে কোন বিশেষ জাদু মন্ত্র থাকে না। কিছু কৌশল তারা ব্যবহার করে। আজকে তেমন কিছু বিষয় নিয়েই কথা বলবো আপনাদের সাথে। সাম্প্রতি একটি Bangla online portal থেকে একটা আর্টিকেল পড়ে তার থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই লেখাটা লিখছি। শেষ পর্যন্ত পড়বেন আশা করি।

১. বুঝে বুঝে পড়া, মুখস্ত বিদ্যা নয়

ভাল ছাত্ররা কখনো না বুঝে পড়ে না। তারা যা পড়ে যেটুকু পড়ে সবটুকু বুঝে বুঝেই পড়ে। ফলে তাদের পড়ার বিষয়টি মনে রাখার জন্য মুখস্ত করতে হয় না। তাই মনে রাখবেন, যা পড়বেন বুঝে বুঝে পড়বেন।

২. এক জায়গা থেকে সবকিছু না পড়া

সবকিছু একই বই বা একটা সোর্স থেকে না পড়ে কয়েকটা জায়গা থেকে পড়বেন। কারণ কোন একটা বইতে হয়ত একটা টপিক খুব ভালভাবে দেওয়া আছে অন্য বইতে হয়ত আরেকটা টপিক। এভাবে পড়লে আপনি যা পড়ছেন সেটাই হবে ঐ বিষয়ের উপর সবচেয়ে সাজানো এবং পরিপূর্ণ লেখা।

৩. প্রচণ্ড মনোযোগী হওয়া

পড়াশুনায় মনোযোগের বিকল্প নেই। প্রচণ্ড মনোযোগী হতে হবে। তা নাহলে সারাদিন রাত পড়েও ভাল ফল পাবেন না। অনেকে পড়ার টেবিলে ঘন্টার পর ঘণ্টা বসে থাকে, বলে পড়া মুখস্ত হয় না। আসলে পড়াশুনায় তারা ঠিকমতো মনোযোগী হয়ে পড়তে পারে না।

৪. টানা অনেকসময় ধরে পড়াশোনা না করা

মানুষের মস্তিষ্ক একটা কম্পিউটারের মতো স্টরেজ ম্যামরি, এখানে প্রতিটি তথ্য সুন্দর করে সজ্জিত হলেই তা ভাল্ভাবে মনে রাখা যায়। কিন্তু যদি আপনি টানা পড়তে থাকেন, ব্রেইনকে তথ্য সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত সময় না দেন, তাহলে এই তথ্যগুলো মস্তিষ্কে সন্নিবেশ করতে যে সময়টুকু প্রয়োজন সেটা হিউম্যান ব্রেইন পায় না। এর ফলে মনে থাকে না কিছু। তাই একটানা অনেকক্ষণ না পড়ে কিছু সময় পরপর বিরতি নিয়ে পড়া উত্তম।

৫. নিজে ঐ বিষয়ে যা জানেন তা অন্যদেরকে শেখান

পড়া মনে রাখার অন্যতম ভাল একটি টিপ হচ্ছে এটা। আপনি দেখবেন আপনি যা পড়ছেন তা যদি অন্যদের শেখান তাহলে সেটা আপনার মাথার ভেতর গেঁথে যায়। যেহেতু অন্য কাউকে আপনি শেখাতে যাচ্ছেন তাহলে আপনাকেও সেই বিষয়টি আগে খুব ভাল করে বুঝে নিতে হয়- এজন্য অন্যদের শেখানোর মাধ্যমে সবকিছু খুব ভাল্ভাবে মনে রাখা সম্ভব।

৬. গল্পের মতো করে পড়া

পড়ার টপিকটাকে গল্পের মতো করে সাজিয়ে নিন। তাতে খুব ভালোভাবে মনে রাখতে পারবেন। কারণ আপনি যখন গল্পটি মনে করার চেষ্টা করবে তখন আপনার পড়ার সবকিছু মনে পড়ে যাবে।

৭. ছোট ও বড় লক্ষ্য তৈরি করা

একসাথে এলমেলভাবে না পড়ে। একটা স্টাডি প্ল্যান করে নিন। সেখানে ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন, সবগুলো ছোটলক্ষ্য মিলে যেন আপনি আপনার আসল বা বড় সেই লক্ষ্যটির দিকে এগিয়ে যেতে পারেন এমনভাবে প্ল্যানটি তৈরি করুন।