বর্তমান প্রযুক্তির এই যুগে আমরা অনেক বেশি উদাসীন হয়ে পড়ছি আমাদের নিজেদের শারীরিক মানসিক সুরক্ষায়। প্রযুক্তিকে আমরা এতোটা আপন করে নিয়েছি যে এমনকি নিজেদের কি কি ক্ষতি হচ্ছে, কোথায় স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে সেদিকে আমাদের একটুও খেয়াল নেই।
বলছি না প্রযুক্তিকে এভয়েড করতে কিন্তু আমাদের যেটা দরকার- একটু সচেতনতা। তাতে হয়ত বড় কোন ক্ষতি হওয়া থেকে বেঁচে যেতে পারি আমরা। আজ এমন কয়েকটি বিষয় নিয়ে কথা বলবো, যা টেকনোলজির কিছু ভয়াবহ ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আমাদের মুক্ত রাখবে। স্বপ্নবাজ তরুণদের তারুণ্যের ম্যাগাজিন অভিযাত্রী অবলম্বনে লেখাগুলো লেখার চেষ্টা করেছি।
- শুধুমাত্র প্রয়োজনের সময় ওয়াইফাই অন করে রাখুন। যখন ব্যবহার করছেন না, তখন বন্ধ করে রাখুন।
- মোবাইল ফোন ও ডিজিটাল ডিভাইসকে ঘুমানোর সময় আপনার বিছানা থেকে দূরে রাখুন। আপনি হয়ত বলবেন আপনার এলার্ম দেওয়ার জন্য মোবাইল ফোন দরকার হয়। প্লিজ, আগের দিনের একটা এনালগ এলার্ম ঘড়ি নিয়ে আসুন।
- ঘুমানোর ঘরে এমনকি টিভিও যেন না থাকে। কারণ কম্পিউটার, মোবাইলের মতো টিভি থেকেও ব্লু লাইট নির্গত হয়, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত খারাপ।
- কেবল একটা নির্দিষ্ট সময় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করুন।
- কিছু লিখলে খাতা এবং কলমে লিখুন। এটা মস্তিষ্কের জন্য ভাল চর্চা।
প্রযুক্তির ৫টি ভয়াবহ প্রভাব:
- সোশ্যাল সাইটগুলো হয়ে উঠছে তরুণদের প্রথম পছন্দ অথচ যা পড়াশুনা, পরিবারের সাথে সময় কাটানো, খেলাধুলা ইত্যাদি না হলে আগামী প্রজন্মের শিক্ষা ও নৈতিক অবক্ষয়ের ব্যাপক ঘাতটি দেখা যাবে।
- তারা এমনসব মানুষকে গুরুত্ব দিচ্ছে যারা আসলে তাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ নয়।
- তারা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে যা, হতাশা ও এমনকি আত্মহত্যা করতে প্রভাবিত করছে।
- ওরা এমনভাবে প্রভাবিত হচ্ছে যে পর্দার সামনে থাকা রঙ্গিন জীবনগুলো দেখে তাকে অনুসরণ করছে, যা কাল্পনিক এবং লোকদেখানো বা মিডিয়া তারা তৈরি ভুল কিছু ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য।
- সোশ্যাল মিডিয়া হল একটা মায়াজালের মতো যা ঘোরের মধ্যে একবার ঢুকে গেলে তাতে আসক্ত হয়ে তরুণ প্রজন্ম এক ভুল পথে পা বাড়ায়।
আগামী পর্বে কথা বলবো, অনিদ্রা সমস্যা দূর করার উপায় নিয়ে। সে পর্যন্ত ভাল থাকুন।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।