গমের উৎপাদন প্রযুক্তি

মাটি

উঁচু ও মাঝারি দোঅাঁশ মাটি গম চাষের বেশি উপযোগী। লোনা মাটিতে গমের পলন কম হয়।

 

বপনের সময়

গমের উচ্চ ফলনশীল জাতসমূহের বপনের উপযুক্ত হল কার্তিক মাসের শেষ থেকে অগ্রহায়ণের তৃতীয় সপ্তাহ। যেসব এলাকায় ধান কাটতে ও জমি তৈরি করতে বিলম্ব হয় সে ক্ষেত্রে আকবর, অঘ্রাণী,প্রতিভা ও গৌরব বপন করলে ভাল ফলন পাওয়া যায়।

 

বীজের হার

হেক্টর প্রতি ১২০কেজি বীজ ব্যবহার করতে হবে। বীজ গজানোর ক্ষমতা ৮৫% এর বেশি হলে ভাল হয়।

 

বীজ শোধন

ভিটাভেক্স-২০০ প্রতি কেজি বীজে ৩ গ্রাম হারে মিশিয়ে বীজ শোধন করতে হবে।

 

বপন পদ্ধতি

সারিতে বা ছিটিয়ে গম বীজ বপন করা যায়। সারিতে বপনের জন্য জমি তৈরির পর লাঙ্গল দিয়ে সরু নালা তৈরি করে ২০সেমি দূরত্বের সারিতে ৪-৫সেমি গভীরে বীজ বুনতে হয়।

 

সার প্রয়োগ পদ্ধতি

সেচসহ চাষের ক্ষেত্রে নির্ধারিত উইরিয়া সারের দুই তৃতীয়াংশ এবং সম্পূর্ণ টিএসপি, এমপি ও জিপসাম শেষ চাষের পূর্বে প্রয়োগ করে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে।

বাকি এক তৃতীয়াংশ ইউরিয়া প্রথম সেচের সময় উপরি প্রয়োগ করতে হবে।

সেচ ছাড়া চাষের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ সার অর্থাৎ ই

ইউরিয়া, টিএসপি, এমপি ও জিপসাম শেষ চাষের সময় জমিতে প্রয়োগ করতে হবে।

 

 

সারের পরিমাণ

গম চাষে নিচে উল্লিখিত হারে সার ব্যবহার করা প্রয়োজন।

সারের নাম

সারের পরিমাণ/হেক্টর

সেচসহ

সেচ ছাড়া

ইউরিয়া ১৮০-২২০ কেজি ১৪০-১৮০ কেজি
টিএসপি ১৪০-১৮০ কেজি ১৪০-১৮০ কেজি
এমপি ৪০-৫০ কেজি ৩০-৪০ কেজি
জিপসাম ১১০-১২০ কেজি ৭০-৯০ কেজি
গোবর/কম্পোস্ট ৭-১০ টন ৭-১০ টন

 

পানি সেচ

মাটির প্রকারভেদে সাধারণত ২-৩টি সেচের প্রয়োজন হয়। প্রথম সেচ চারার তিন পাতার সময়(বপনের ১৭-২১ দিন পরে), দ্বিতীয় সেচ গমের শীষ বের হওয়ার সময় (বপনের ৫৫-৬০ দিন পর) এবং তৃতীয় সেচ দানা গঠনের সময় (বপনের ৭৫-৮০ দিন পর) দিতে হবে।

 

ফসল সংগ্রহ

চৈত্র মাসের প্রথম থেকে মধ্য-চৈত্র পর্যন্ত গম সংগ্রহ করতে হয়।

সূত্রঃ কৃষি প্রযুক্তি হাতবই খন্ড-১,৫ম সংস্করণ (বিএআরআই)।