উদ্ভিদ যেভাবে খাদ্য তৈরি করেঃ

আমরা সকলেই একটা ব্যাপার জানি যে, উদ্ভিদের জন্য দরকারি খাবার উদ্ভিদের দেহেই তৈরি হয়। মূলত গাছের পাতায় একটি বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই খাবার তৈরি হয়ে থাকে। খাদ্য তৈরির জন্য গাছের কয়েকটি উপাদান দরকার হয়। সেগুলো হলো সূর্যের আলো, কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস, পানি ও ক্লোরোফিল। ক্লোরোফিল হলো গাছের মধ্যে অবস্থিত এমন একটি উপাদান যার উপস্থিতিতে পাতার রং সবুজ দেখায়। অর্থাৎ ক্লোরোফিল হলো উদ্ভিদের সবুজ উপাদান। উদ্ভিদ তার দেহে যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খাদ্য তৈরি করে সে প্রক্রিয়াকে বলা হয় ‘সালোকসংশ্লেষণ’।সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভিদ নিজের জন্য শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরি করে। সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়াটি শুধু উদ্ভিদের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয় বরং এটি আমাদের জন্যও খুবই দরকারি। কারণ এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভিদ অক্সিজেন তৈরি করে তা বাতাসে ছেড়ে দেয়। আর বাতাস থেকে আমরা সেই অক্সিজেন গ্রহণ করে বেঁচে থাকি।

 

উদ্ভিদ যেভাবে খাদ্য সঞ্চয় করেঃ

এমন অনেক গাছ রয়েছে যেগুলো শুধু খাদ্য তৈরিই করে না বরং ভবিষ্যতের জন্য খাদ্য জমাও করে রাখে। উদাহরণস্বরুপ বলা যায় গাজরের কথা। গাজরের প্রধান মূলটি খাদ্য সঞ্চয় করে মোটা হয়ে যায়। গাজর গাছ সাধারণত খাদ্য তৈরি করে গ্রীষ্ম এবং বসন্তকালে এবং পরবর্তীতে গাছগুলো মরে যায়। আবার পরের বছরে ঠিক একই সময়ে মূলে জমাকৃত সেই খাদ্য ব্যবহার করে নতুন পাতা গজায়। আবার এমন কিছু উদ্ভিদ রয়েছে যারা তাদের কান্ডে খাদ্য সঞ্চয় করে। এমনই একটি উদ্ভিদ হলো ‘আলু’।কিছু কিছু উদ্ভিদ তাদের পাতায় খাদ্য সঞ্চয় করে। যেমন-রসুন,পেঁয়াজ ইত্যাদি। এদেরকে ‘বাল্ব’ বলা হয়।