মস্তিস্কের উপযুক্ত বিকাশে চিনির ভূমিকাঃ মস্তিস্কের উপযুক্ত বিকাশ ও পূর্ণ কার্যকারিতার জন্য চিনি একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। প্রতি ১০০ গ্রাম ব্রেনের জন্য প্রতি মিনিটে গ্লুকোজ (চিনির সরল উপাদান) দরকার ৫.৫ মি.গ্রা., অক্সিজেন দরকার ৩.৫ মি.লি. এবং গ্লুটামেট দরকার হয় ০.৪ মি.গ্রা.। এ হিসেবে একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষের ব্রেনের উপযুক্ত কার্যকারিতার জন্য প্রতি মিনিটে গ্লুকোজ (চিনির সরল উপাদান) দরকার ৭৭ মি.গ্রা., অক্সিজেন দরকার ৪৯ মি.লি. এবং গ্লুটামেট দরকার হয় ৫.৬ মি.গ্রা.। পক্ষান্তরে প্রতি ১০০ গ্রাম ব্রেন থেকে প্রতি মিনিটে উৎপাদিত হয় ৩.৫ মি.লি. কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও ০.৬ মি.গ্রা. গ্লুটামিন।
একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষের মস্তিস্কের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ও উৎপাদিত দ্রব্য
উপকরণ |
প্রতি মিনিটে প্রতি ১০০ গ্রাম মস্তিকের গ্রহণ (±) কিংবা উৎপাদানের পরিমাণ(-) |
মোট/মিনিট |
ব্যবহৃত উপকরণ | ||
অক্সিজেন
গ্লুকোজ গ্লুটামেট |
± ৩.৫ মি.লি. + ৫.৫ মি.লি. + ০.৪ মি.লি. |
± ৪৯ মি.লি. + ৭৭ মি.লি. + ৫.৬ মি.লি. |
উৎপাদিত দ্রব্য | ||
কার্বন-ডাই-অক্সাইড
গ্লুটামিন |
-৩.৫ মি.লি. -০.৬ মি.লি. |
|
যেসব দ্রব্য গৃহিত/উৎপন্ন হয় নাঃ ল্যাকটেট, পাইরুভেট, সকল কীটোন, ও আলফা-কীটোগ্লুটামেট |
Modified from Sokoloff, L. 1960. Metabolism of the central nervous system in vivo. In: Hand book of Physiology. Section 1. vol. 3, Page 1843, American Physiology Society.
পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে খাদ্যের শতকরা ১১ ভাগ ক্যালরী চিনি বা গুড় থেকে আসা উচিত। সে কারণেই বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (FAO) মাথাপিছু বছরে কমপক্ষে ১৩ কেজি চিনি গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (১৯৯৬) হিসেব অনুযায়ী দেশে মাথাপিছু চিনি ও গুড় গ্রহণের পরিমাণ যথাক্রমে ২.৬ কেজি ও ৪.১ কেজি।
সূত্রঃ বাংলাদেশে ইক্ষু উৎপাদন প্রযুক্তিঃ একটি হ্যান্ডবুক (বিএসআরআই)